ঢাকা অফিস
দেশে ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়ার পথে হাঁটছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। অনুমোদন পেলেই দেশের রাস্তায় ৫০০ সিসির উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল চলাচলে আর কোনো বাধা থাকবে না।
জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিষয়টি নিয়ে আরও বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইউছুব আলী মোল্লা।
দেশে ২০১৭ সাল থেকে ১৬৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দিচ্ছে বিআরটিএ। এর বেশি সিসির মোটরবাইকের নিবন্ধন নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গত বছরের এপ্রিলে দেশে ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল উৎপাদন করে দেশীয় বাজারে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনুমতি পেলেও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) নিবন্ধন না দেওয়ায় ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেল বিক্রি করতে পারছে না কোম্পানিগুলো।
আরও পড়ুন:সারের দাম কেজিতে বাড়লো ৫ টাকা
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিতে উৎপাদক এবং আমদানিকারকদের প্রস্তাবের পাশাপাশি একটি কোম্পানির চাপ রয়েছে। এ কারণেই মন্ত্রণালয় তৎপর হয়েছে।
গত রোববারের বৈঠকে যোগ দেওয়া বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, রেজিস্ট্রেশন অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আরও অনেক ধাপ বাকি। রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া হলে ফি নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ মোটরসাইকেল সংযোজনকারী ও উৎপাদক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বাজাজের ৩০০ এবং ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে এগুলো আসবে। তবে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের নিবন্ধনের ফি বাস্তবসম্মত হতে হবে। লাখ টাকা ফি হলে ক্রেতারা কিনবেন না।
আরও পড়ুন:নির্বাচনে বিএনপি ঘোমটা পরে আসবে: ওবায়দুল কাদের