কল্যাণ ডেস্ক
গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার স্থান নেই। নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকলে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সোমবার (১৭ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দুটি প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রশ্ন-উত্তরের অনুলিপি তুলে ধরা হয়েছে।
ম্যাথু মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি (উজরা) জেয়া বাংলাদেশে থেকে ফেরার পরপরই সেখানে শাসক দল বিরোধীদের ওপর হামলা শুরু করেছে। গতকাল সেখানে একটি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা প্রধান বিরোধী দল বয়কট করেছে। সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। অথচ ওই নির্বাচনে ১০ শতাংশের কম ভোটার ভোট দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আপনি কি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব? বাংলাদেশের ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনও কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গতকালের নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী? আপনি কি বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে খেয়াল করছেন?
জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকলে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমি আগেও বলেছি, এখন আবার বলব, বাংলাদেশ সরকার আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে ওপর আমরা গভীর নজর রাখছি।
এরপর ম্যাথু মিলারকে বুধবার (১২ জুলাই) রাতে নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের সামনে বিক্ষোভ ও ওই বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টার মাথায় বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীর ঘরে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। বলা হয়, এই বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীর ভাই, মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে। বিরোধীদের ওপর শাসক দলের কর্মীদের ওই হামলার ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করা হয়েছে। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রে কেউ আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বললে, প্রতিবাদ জানালে তার পরিবারের সদস্যরা দেশে নিরাপদ নয়। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?
ম্যাথু মিলার বলেন, আমি আগের কথাই বলব। আপনি যে ধরনের সহিংসতার কথা বলেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে তার কোনো স্থান নেই।
সূত্র : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইট