বিনোদন ডেস্ক: সর্বাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে কলকাতা এমনকি বলিউডে মিট্টি নামে একটি সিনেমাতেও কাজ করেছেন ২০০১ সালে।
১৯৯৮ সালে তিনি চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ‘হটাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় কাজ করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশপাশি তিনি মডেলিং, টিভি উপস্থাপনা ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন।
সম্প্রতি তাকে রাজনৈতিক কার্যক্রমে বেশ সক্রিয় দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে ডেইলি বাংলাদেশ থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়, রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না?
উত্তরে ফেরদৌস আহমেদ জানান, রাজনীতি এসেই আছি। যখন আমরা একটা দেশের সু-নাগরিক তখন কোনো না কোনো দলের সাথে সমপৃক্ত হয়েই যাই। যেমন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগকে আমি সমর্থন করি। আমার ভাল লাগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে থাকতে, উনার সাথে কাজ করতে।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এটা আমি করি। আমার মনে হয় বিনোদনের মাধ্যমে অনেক কিছুটা শিক্ষা, সচেতন করার চেষ্টা করেছি। এখন যদি আমার উপস্থিতি দিয়ে মানুষের কাজে আসি, জনগণের সেবা করতে পারি। তো এটা আমার ভাল লাগার জায়গা।
কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন নির্বাচনে ইচ্ছে আছে কি না জানতে চাইলে ফেরদৌস আহমেদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ইচ্ছে তো অনেক কিছুই আছে। তো এখন বাকীটা নির্ভর করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর।
বর্তমানে ফেরদৌস আহমেদ ‘আহারে জীবন’ সিনেমায় কাজ করছেন। এই সপ্তাহে এই সিনেমার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। ছটুক আহমেদ পরিচালিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন পূর্ণিমা। এটি জীবনঘনিষ্ঠ গল্পের সিনেমা।
এছাড়াও এই অভিনেতার বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়। গত বছরে তার ‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তি পায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘দামপাড়া’, ‘১৯৭১ সেইসব দিন’, ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’, ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’, ‘সুজন মাঝি’ এমন বেশ কিছু সিনেমার কাজ শেষ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘প্লাস্টিক সুন্দরী’ মোনালি

 
									 
					