নিজস্ব প্রতিবেদক
নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার, অনিয়ম ও ৫৫টি কেন্দ্র দখলের অভিযোগে এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন যশোর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। বেলা ১১টায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ৯ এজেন্টকে মারপিট করা হয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটার ও কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। ৫৫টি কেন্দ্র দখল করে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওরা প্রমাণিত করছে এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। হয়তো ১০ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু তারা ৫০ শতাংশ ভোট দেখানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সে কারণে এমন প্রহসনের নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়াচ্ছি।
ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি
এই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
নৌকা সমর্থকদের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা গুলিয়ে চালিয়ে চার জনকে আহত করেছেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আকতার বলেন। ‘নিরবে ভোট গ্রহন চলছে। তবে ভোটারের উপস্থিতি কম।’
যশোর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার বেলাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।’
যশোর ১ আসনে ১০২ ভোট কেন্দ্রের ৬৬১ ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে পুরুষ কক্ষ ৩১৭ ও মহিলা কক্ষ ৩৪৪।
এ আসনে ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৯৪ হাজার ৬৯২। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৬ জন। মহিলা ভোটার এক লাখ ৪৭ হাজার ১১৪ জন। হিজড়া ভোটারের সংখ্যা দুই।