বড়আঁচড়া ওয়ার্ডে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক
বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া ওয়ার্ডে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তার উপস্থিতিতে বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন এই এলাকায় বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করে। এলাকাবাসী তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ও উন্নয়নের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রিয় নেতার কাছে।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান। শৈশব থেকে চোখের সামনে দেখেছি বেনাপোল স্থলবন্দরের পাশের এই এলাকার সম্ভাবনা ঠিক কতটা বিশাল। আর অবহেলা কতটা ভয়াবহ। রেললাইনের পাশের বস্তিতে গরিব মানুষ যেভাবে অসম্মান, অনিরাপত্তা এবং অমর্যাদার মধ্যে জীবনযাপন করছেন সেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, অনুভব করেছি। তাই আমি বলতে চাই, এই এলাকার মানুষ যে মানবিক পরিবেশ পাওয়ার অধিকার রাখে এটা আমার রক্তে আছে। বিএনপি সরকার গঠন করলে, এলাকার ছেলে হিসেবে আমি এমপি নির্বাচিত হলে, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ। বড় আঁচড়ার প্রতিটি পরিবার যেন নিরাপদ আবাসন, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন এবং ন্যূনতম মানবিক সুযোগ-সুবিধা পায় এটা আমি নিজের দায়িত্ব হিসেবে দেখি।
বেনাপোল স্থলবন্দর শুধু দেশের অর্থনীতি নয়, প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা রাজস্ব অর্জনের কেন্দ্র। এই অর্থের সঠিক ব্যবহার করে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, স্ট্রিট লাইট, নিরাপত্তা এসব আমার কাছে কাগজের উন্নয়ন নয়; এগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবন বাঁচানোর বাস্তব চাহিদা। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আধুনিক শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলে এই পুরো এলাকা আগামী প্রজন্মের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে। কৃষির উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ, সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এসব করব। যা বড় আঁচড়াকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, আমি বিশেষভাবে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে চাই যে, জামাতে ইসলামী ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায়, তাদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হবেন না। মা-বোনদেরও উৎসাহ দেই যেন তারা সঠিকভাবে ইসলামী শিক্ষা অর্জন করে, নামাজ ও রোজার প্রতি নিয়োজিত থাকে। যাতে ধর্মের সঠিক মূল্যবোধ বজায় থাকে। পাশাপাশি, জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের ষড়যন্ত্র, বিভাজনমূলক কার্যক্রম ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে হেয় করার প্রচেষ্টা থেকে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। এই জামাতে ইসলামী দেশের ঐক্যকে ক্ষুণ্ন করতে চায়, তাদের ফাঁদ থেকে সজাগ থাকা আমাদের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বড়আঁচড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী ইদু। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মহাসিন কবির। বক্তব্য রাখেন বেনাপোল পৌর বিএনপি সভাপতি নাজিমুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন, ইদ্রিস মালেক, নাসিমুল গনি বল্টু, যুগ্ম সম্পাদক মেহেরুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আহাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান বক্তব্য রাখেন। তারা স্থানীয় সমস্যা, জনগণের উন্নয়ন এবং সামাজিক সম্পর্ক জোরদারের দিক তুলে ধরেন।
উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রিপন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহীদ এবং যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহানুর রহমান শাওন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বিপ্লব মন্ডল, ইনজামামুল হক, শার্শা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব হোসেন, আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান, বেনাপোল পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইসতিয়াক আহমেদ শাওন এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
