খুলনা ব্যুরো
আগামী ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। নগর যুবলীগ পেতে যাচ্ছে তাদের অভিবাবক। সভাপতি ও সম্পাদক পদে আসছে মহানগরের সাবেক দুই ছাত্রলীগ সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নতুনরা আসতে পারছেন না নেতৃত্বে। এ নিয়ে সাবেক যুবনেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও সম্মেলনের ঘোষণায় দলীয় কার্যালয়ে নতুন করে সরব হচ্ছেন তারা।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয় আনিছুর রহমান পপলুকে। যুগ্ম-আহ্বায়ক হন এস এম মনিরুজ্জামান ও হাফেজ মো. শামিম। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও গত সাড়ে ১৪ বছরে তা করতে পারেননি তারা। সর্বশেষ নগর যুবলীগে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি নগর যুবলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ওই কমিটিতে অ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলুকে আহ্বায়ক এবং মনিরুজ্জামান সাগর ও হাফেজ মো. শামীম যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। দ্বিতীয় দফার আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম পলাশ। আর যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন।
নতুন কমিটিতে সভাপতি হচ্ছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ। আর সাধারণ সম্পাদকের পদ পাচ্ছেন বর্তমান মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন।
নতুন ও বয়সে তরুণ এই দুই নেতার রাজনীতির অঙ্গনে সুপরিচিতি রয়েছে। তাদের সাথে থাকা একঝাঁক তরুণ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে নগর যুবলীগের রাজনীতিতে। পলাশ-সুজন ছাত্র রাজনীতিতে সফল হওয়ার পর যুবলীগে তাদের আবির্ভাব দলের জন্য সুফল বয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা এখন সকলেরই।
সফিকুর রহমান পলাশ ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্যের দায়িত্বে ছিলেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছাড়ার পর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে যুবলীগের কর্মকাণ্ডে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন। এছাড়াও তিনি সিটি কলেজে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক ছিলেন ও দুই বার জিএস পদে নির্বাচন করেন। তাই দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে তার জনপ্রিয়তা গড়ে উঠে। বর্তমান মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। শেখ সুজন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন। তিনি ২০১০ সালে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৫ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়াও ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। পারিবারিক দিক থেকেও শেখ সুজনের খ্যাতি কম নয়। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল হক ষাটের দশকে তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। যিনি খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
সফিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, সম্মেলনে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে। সংগঠন গণতন্ত্রে বিশ^াস করে, সেহেতু যাকে দায়িত্ব দেয়া হবে তাকেই আমরা মেনে নেবো। দায়িত্ব পেলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি : অমিত
১ Comment
Pingback: আসাদ হল দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মহড়া - দৈনিক কল্যাণ