নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত। এখন সেই ষড়যন্ত্রের কর্মসূচির নাম পদযাত্রা। এই পদযাত্রার নামে তারা আবারও ভুলপথে যাচ্ছে। একই সাথে তারা পথভ্রষ্ট হচ্ছে। যার কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা পুরনো রুপে ফিরে যেতে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ছক কসছে। সেই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঐক্যবন্ধ থেকে জবাব দিবে। গতকাল শনিবার বিকালে শহরের ভৈরব চত্বরে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশে উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ তার সহযোগী সংগঠন মিছিলের মহড়া দিয়ে দড়াটানা চত্বরে হাজির হয়। এসব স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সমস্ত দড়াটানা চত্বর।
শাহীন চাকলাদার আরো বলেন, মানি লন্ডারিং মামলাসহ নানা মামলায় বিএনপির শীর্ষনেতা খালেদা, তারেক জিয়া অপরাধী-দণ্ডপ্রাপ্ত। দন্ডপ্রাপ্ত হলে তারা তো নির্বাচন করতে পারে না। জামাত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীকারী। তাদের গাড়িতে আর বাংলাদেশের পতাকা উঠবে না। সেই পরিস্থিতি আর দেশে নেই। এই দেশের জনগণ বেঁচে থাকতে মেনে নিবে না। যশোরের বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ওই লাল দীঘির পাড়ে কয়েকজন নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে এসে বড়বড় কথা বললেই দল বদলায়ে যাবে না। যশোরে রাজনীতি করতে হলে জনণের কাছে যেতে হবে। আজ তাদের নেতারা বড়বড় বুলি দেয়, করোনাকালে কই ছিলেন। মানুষকে তো একছটাক চালও দেননি। যা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যশোরের অসহায় কর্মহীর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলো আওয়ামী লীগ। আপনারা মানুষ বাঁচাতে পারেন না; আপনারা পারেন গান পাউডার দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিং বদলানো নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শাহীন চাকলাদার স্টার তৈরির কারিগর। অনেকেই এইসব স্টারদের নিয়ে নেওয়ার টেষ্টা করে। কিন্তু প্রকৃত আদর্শের কর্মী তাদেরকে কখনো নেওয়া যাবে না। আপনারা নিতে পারবেন চুরাবালিতে হামলা যারা করে, সেই সব টুকাই নেতাদের নিতে পারবেন। রাজপথে যারা জামাত-বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মোকাবেলা করে তাদের কখনো নিতে পারবে না। আমি আর আমার জেলার সভাপতি ঐক্যবন্ধ থেকে সকল যড়যন্ত্র মোকাবেরা করবো। এই রাজপথে থেকে সন্ত্রাসী মোকাবেলা করবো। আমরা আগেও যেমন রাজপথে দখল করেছি, সামনে দরকার পরলে ঐক্যবন্ধ থেকেই করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগনেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আলমগীর কবির সুমন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সসম্পাদক রিফাতুজ্জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:সরকার ভূত দেখার মত ভয় পেয়েছে : ফারুক
১ Comment
Pingback: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে বাংলাদেশে পাঠানোর নির্দেশ