নিজস্ব প্রতিবেদক
অভয়নগরে এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়ার অভিনয় করে বেশি বেতনে চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের অভিযোগে বিল্লাল হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে পিবিআই যশোরের সদস্যরা। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর খালু উপজেলাল দিঘিরপাড় গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যা বাদী হয়ে বিল্লাল হোসেনসহ তিনজহনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন।
বিল্লাল হোসেন ওই গৃহবধূকে ভারতে পাচারের পর একটি পতিতালয়ে বিক্রির কথা স্বীকার করে গতকাল শনিবার জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা রওশন আরা জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। বিল্লাল হোসেন একই উপজেলার চাকই গ্রামের মাহমুদ ফকিরের ছেলে।
পিবিআই যশোরের এসআই শামীম রেজা জানিয়েছেন, অভয়নগরের দিঘিরপাড় গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধীর এক যুবকের স্ত্রীর সাথে বিল্লাল হোসেন প্রথমে প্রেমের অভিনয় করে। এরপরে তাকে বেশি বেতনে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি প্রলোভন দেখায়। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ওই গৃহবধূকে চাকরি দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপরে তাকে ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয় বিল্লাল। চলতি বছরের ১২ মার্চ রাত ৮টার দিকে ওই গৃহবধূ মোবাইল করে বাড়িতে পাচার এবং পতিতালয়ে বিক্রির কথা জানান। বিল্লাল হোসেন সেখানে মরিয়ম খাতুন ও মফিজ নামে দুইজনের কাছে রেখে বাংলাদেশে চলে আসে। মরিয়ম ও মফিজ তাকে দিয়ে জোর পূর্বক পতিতাবৃত্তির কাজ করাচ্ছে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর খালু বাদী হয়ে গত ১৫ আগস্ট অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য স্বউদ্যোগে গ্রহণ করে পিবিআই। পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নির্দেশনায় এসআই শামীম রেজার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এদিনই গভীর রাত আড়াইটার দিকে বিল্লাল হোসেনকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ওই গৃহবধূকে পাচারের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।