নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলসহ সারা দেশে বাস মালিক শ্রমিকদের কোন বেতন বোনাস দেওয়া হয় না। এনিয়ে প্রতিটি উৎসবে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কিন্তু যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার নজির স্থাপন করেছেন। তার অধীনে লিটন ট্রাভেলসে কর্মরত পরিবহন শ্রমিকদেরকে বেতন বোনাস দিয়েছেন তিনি। এতে বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
শনিবার শহরের মনিহার চত্বরে বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। মতবিনিময় শেষে বিকালে তিনি বোনাস দেন।
এসময় পরিবহন শ্রমিকরা জানান, মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরে সব শ্রেণির শ্রমিকদের কম-বেশি উৎসব ভাতা থাকলেও বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের পরিবহন শ্রমিকরা। নির্ধারিত মাসিক বেতন নেই বলে বোনাস বা উৎসব ভাতা পান না তারা। দৈনিক মজুরি বা ট্রিপ চুক্তি অনুযায়ী সারা বছরই পরিবহনের চালকসহ গাড়ির স্টাফরা বেতন নেন। মালিকরা সেভাবেই বেতন দিয়ে অভ্যস্ত। তবে তাদের ঈদ বা পূজায় কোনও উৎসব ভাতা দেওয়া হয় না। বোনাস বা উৎসব ভাতা বলতে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া অর্থ।
ফাতেমা আনোয়ার বলেন, আমার জানা ছিলোনা যে পরিবহন শ্রমিকরা কোন উৎসব বোনাস পাননা। যে শ্রমিকরা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাত্রীদেরকে নিরাপদে নিয়ে যাচ্ছেন। সেসব শ্রমিকরা ঈদ বোনাস না পাওয়াটা দুঃখজনক। আমার প্রতিষ্ঠান লিটন ট্রাভেলসে ৩৫০ থেকে ৪০০ শ্রমিক আছে। আমি অবশ্যই তাদেরকে ঈদ বোনাস দিবো। আজ থেকে ড্রাইভার, সুপার ভাইজার ও স্ট্যাটার যারা আছেন তাদের ২ হাজার ৫শ টাকা ও যারা হেলপার আছেন তাদের ২ হাজার টাকা করে ঈদ বোনাস দেওয়া হবে।
তিনি সকল পরিবহন মালিকদেরকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যারা রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৩৬৫ দিন নির্বিঘেœ নিরাপদে যাত্রীদেরকে পৌঁছে দেয়, যারা আমাদের কোম্পানিকে টিকিয়ে রেখেছেন তাদের বেতন বোনাস সময় মতো পরিশোধ করবেন। ঈদের আগেই তাদের বেতন বোনাস দেওয়ার জোর আহ্বন জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনার রশীদ ফুলু, এ্যাড আকরাম হোসেন, দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসিন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক শাহ আলম প্রমুখ।
