আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পরিবারের অমতে বিয়ে করায় পাকিস্তানে এক দম্পতিকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২০ জুলাই) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত অনারকিলিং নামে অভিহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স
ওই দম্পতির নাম পরিচয় জানা যায়নি। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে স্থানীয় উপজাতি কাউন্সিলের নির্দেশে গত মাসে ওই দম্পতিকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়। প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তারা তদন্তে নেমেছে।
ওই ভিডিও দেখে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে মরুভূমিতে কিছু মানুষ পিকাপ এবং এসইউবি নিয়ে জড়ো হয়েছেন। সেখানে ওই দম্পতিকে নিয়ে গুলি করা হয়।
ওই নারীকে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের একটি কপি দেওয়া হয়, এরপর তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাত কদম হাঁটো, তারপর তুমি আমাকে গুলি করতে পারো।’ লোকটি তখন কয়েক কদম তার পেছনে হাঁটে।
একজন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওই নারী কান্নাও করেনি এবং কোনো দয়াও চায়নি। বরং তিনি বলেন, ‘তোমার শুধু আমাকে গুলি করার অধিকার আছে। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।’ ব্রাহাভি আঞ্চলিক ভাষায় এ কথাগুলো বলেন ওই নারী, যা ওই পুলিশ কর্মকর্তা অনুবাদ করে জানান।
পরবর্তীতে ওই নারীকে কাছ থেকে দুটি গুলি করা হয়, পরে আরও একটি গুলি করা হলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তিকেও গুলি করা হয়।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে অন্তত ৪০৫টি অনারকিলিং এর ঘটনা ঘটে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারায় তারা কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচনা করেন।
