নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কে সোমবার দিনব্যাপী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে বিভাগীয় চাকুরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে মেলায় সভাপতিত্ব করেন জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আফিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আফিল উদ্দিন।
প্রধান অতিথি বলেন, সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সব সময় কাজ করছে। তিনি চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবেনা। অবশ্যই সততা, পরিশ্রম ও লক্ষ্য থাকতে হবে। তাহলে নিজের স্বপ্ন পূরণ হবে। নিজেদেরকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলবেন, কিন্তু আপনার মধ্যে সততা নেই। তাহলে সেই শিক্ষার কোন মূল্য নেই। কেননা শিক্ষিত জাতি যদি অসৎ হন তাহলে সেই জাতির জন্য কখন কল্যাণ বয়ে আনেনা।
তিনি বলেন, সেখ আকিজ উদ্দিন নিজের জীবনের সাথে অনেক কষ্ট করেছেন। কিন্তু কখন লক্ষ্যচ্যুত ও অসৎ হননি। তিনি ফেরি করে বাদাম বিক্রি করেছেন। সৎ থেকে পরিশ্রম করেছেন বলে তিনি আকিজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমার বাবা আকিজ উদ্দিন স্বপ্ন দেখতেন একদিন দেশের সব দোকানে তার প্রতিষ্ঠানের পণ্য পাওয়া যাবে। তিনি সেই লক্ষে পৌঁছেছেন। এখন দেশের সব দোকানগুলোতে আকিজ গ্রুপের পণ্য পাওয়া যায়।
প্রধান অতিথি বলেন, ভিতেনামে নারী-পুরুষ সবাই সততা নিয়ে কাজ করেন। তারা অলস সময় কাটান না। এজন্য তারা সফল হয়েছেন। এজন্য অবশ্যই সবাইকে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি পরিশ্রম আর সততার পরিচয় দিতে হবে। তাহলে নিজের লক্ষে পৌঁছানো যাবে। কেননা আপনি চাকরি পেলেন, অথচ আপনার দক্ষতা ও সততা নেই। আপনি সেখানে স্থায়ী হবেন না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম, অভয়নগরের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া মল্লিক, ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আনজুম নাহিদ চৌধুরী ও আফিল গ্রুপের পরিচালক মাহবুব আলম লাভলু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।
বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, আইটি পার্ক ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবীর বাবু, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসান প্রমুখ।
মেলায় অংশ নেয়া মণিরামপুরের খানপুর গ্রামের বিদ্যুৎ দাসের ছেলে আপন দাস জানান, আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবা জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন। পরিবারে অভাবের কারণে চাকরির জন্য সিভি জমা দিতে মেলায় এসেছি। কেশবপুরের মঙ্গলকোর্ট গ্রামের স্বপন বিশ্বাসের ছেলে মিঠুন বিশ্বাস জানান, এমএ পাশ করে চাকরি পাচ্ছি না। এজন্য নিজের সিভি জমা দেবার জন্য চাকরি মেলায় এসেছি।