নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঁচ বছরের ছোট ভাইকে বেঁধে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিশুর মা মঙ্গলবার যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত চয়ন হোসেনকে আটক করে পুলিশ। কিশোর চয়ন হোসেন যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার লিটন হোসেনের ছেলে। তাকে আদালতের মাধ্যমে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই শিশুর মা এজাহারে উল্লেখ করেছে, আর তার স্বামী ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তার ৯ বছরের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। গত সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে তিনি ও তার স্বামী ছেলে মেয়ে বাড়িতে রেখে কাজে যান। চয়ন ডেকোরেটর শ্রমিক। সকাল ৯টার দিকে চয়ন তার বাড়িতে যায় এবং ঘরের মধ্যে ঢুকে মেয়েকে জাপটে ধরে খাটের ওপর ফেলে দেয়। এ সময় পাশে থাকা ছোট ভাই কান্নাকাটি করলে চয়ন একটি কাপড় দিয়ে তার মুখ বাঁধে। এরপর আরো একটি কাপড় দিয়ে খাটের পায়ের সাথে বেঁধে রাখে। মেয়েটিও চিৎকার দিলে উড়না দিয়ে তার মুখও বেঁেধ ফেলে। পরে তাকে ধর্ষণ করে। তার মেয়ে চিৎকার করতে গেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় চয়ন। তিনি দুপুর ১টার দিকে বাড়িতে ফিরে দেখন চয়ন ঘরের সিঁড়ির ওপর বসে আছে। পাশে তার ছেলে মেয়েও আছে। তিনি ঘরে ঢুকলে তার মেয়ে তাকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনাটি আরো প্রতিবেশীরা শুনতে পায়। পরে চয়নের ভাইসহ পরিবারের লোকজন তাকে হুমকি দেয়। তিনি এই ঘটনায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই তাপস মন্ডল জানিয়েছেন, ঘটনা শুনে তিনি চয়নকে আটক করে। আসামি চয়নকে আদালতের মাধ্যমে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
১ Comment
Pingback: যশোরের শার্শায় মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র নিহত