কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রোজা থেকেই দফায় দফায় বাড়তে শুরু করেছে পাকা কলার দাম। তেল, চিনির পর পাকা কলার বাজারেও আগুন লেগেছে। যা এখন আগের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি । ৪-৫ দিন আগে বাজারে ১৬ টাকা হালির কলা এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। এতে নিন্ম আয়ের মানুষর এখন কলার ধারে কাছেও ভীড়তে সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, ২-৩ দিনের ব্যবধানে কলার দাম এত বেশি বাড়তে পারে না। রমজান মাসকে সামনে রেখেই এক শ্রেণির অসাধু কলা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্রেতাদের দাবি, তেল ও চিনির মত কলার বাজার নিয়ন্ত্রণেও প্রশাসনের মোবাইল কোট পরিচালনা করা ।
কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া নতুন বাজার ও বড় বাজার কালী বাড়ির সামনে পাকা কলার বাজারে এক হালি শবরী বা সাগর কলা ৩৫- ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে বিক্রি হতো ১৫-১৬ টাকায়। আর ছোট সাইজের ১০ টাকা হালির চাপা কলা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়।
কলা কিনতে আসা আশরাফুজ্জামানবলেন, ৩-৪ দিন আগেও এক হালি কলা ১৮-২০ টাকায় কিনতাম। কিন্তু এখন সেই কলাই ৩৫-৪০ টাকা দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছি। রমজানে তো দুধ কলা ছাড়া সেহরি খাওয়া হয় না। বর্তমানে দাম বৃদ্ধিতে কলা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেডকে দুষছেন ক্রেতারা।
কলা বাজারের ব্যবসায়ী বজলুর রহমান ও সোলাইমান হোসেন বলেন, রমজানের আগে যে কলা ২-৩ ’শ টাকা পণ এ কিনতে হতো, এখন সেই কলা ৫-৬’শ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা বেশি দামে কিনেই আবার বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন বলেন, রমজানে সাধারণ মানুষের জন্য দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং চলছে। বাজারে পাকা কলা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শুনেছি। প্রশাসন শিগগিরই মোবাইল কোট পরিচালনা করবে।