বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ফুটফুটে মেয়ে সন্তান প্রসব করেছে আসমা নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (পাগলি)।
পাগল থাকায় নবজাতকের পিতৃপরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। অর্থাৎ তিনি মা হলেও বাবা হয়নি কেউ! মা ও সন্তানের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে নবজাতককে দেখতে ভিড় জমান মানুষ। শিশু ও তার মা সুস্থ রয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম তারেক সুলতান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির, ইঞ্জিনিয়ার শুভংকর রায় হাসপতালে গিয়ে মা ও নবজাতক শিশুটির খোঁজ নেন।
জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে মোস্তফা মোল্লার বাড়ির কাছে রোববার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তান প্রসব করেন আসমা বেগম (৩০)। কথিত আছে, আসমার স্বামীর নাম অমিত হাসান শাওন। তবে তার ঠিকানা জানা যায়নি।
মোস্তফা মোল্লার স্ত্রী রানী বেগম জানান, গতকাল দুপুরে ভারসাম্যহীন ওই মহিলা তাদের বাড়ির সামনে থেকে চিৎকার করে আমাকে বাঁচাও। পরে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলে সন্তান প্রসব করেন। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। নবজাতক ওই শিশুটিকে আমি মানবিক হিসেবে দত্তক নিতে চাই।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শেখ নাদিরুজ্জামান আকাশ বলেন, গতদিন দুপুরে নবজাতক শিশু ও তার মাকে নিশানবাড়িয়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে একজন মেডিকেল অফিসার ও নার্স হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
নবজাতক শিশুটি স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণন করেছে। তার গায়ের রং শ্যামলা। উচ্চতা ও ওজন ঠিক রয়েছে। মা ও সন্তান দু’জনই সুস্থ রয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তায় তাদের সার্বক্ষণিক দেখভাল করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম তারেক সুলতান বলেন, রোববার দুপুরে নিশানবাড়িয়া চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ভারসাম্যহীন নারীর নবজাতক সন্তান প্রসবের বিষয়টি অবহিত করেন।
এ সময় তাৎক্ষনিকভাবে শিশু-মায়ের সুস্থতা নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। নবজাতক শিশুটির দত্তক দেওয়ার বিষয়টি সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব
১ Comment
Pingback: মোংলায় বসতঘরে আগুন, স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ ৪