নিজস্ব প্রতিবেদক
একটু একটু করে শীতের আমেজ মাখতে শুরু করেছে। অগ্রহায়ণের ফুটফুটে বিকেল। মায়েদের সাথে সমানতালে হাত লাগাচ্ছে কঁচিকাঁচারাও। টেবিল জুড়ে সাজানো হচ্ছে রকমারি সব শীতকালীন পিঠপুলি। মৌ মৌ সুঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ। হরেক রকম পিঠার পাশপাশি টেবিলে শোভা ছড়াচ্ছিলো শিশুদের কোমল হাতের পরশে গড়া ‘হ্যান্ডিক্রাফটস’।
বলছিলাম যশোর শহরের লালদিঘি পাড়ে ব্রাদার টিটোস হোম স্কুলের শনিবারের বিকেলের বর্ণনা। এদিন ছিল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব ও ‘হ্যান্ডিক্রাফটস এক্সিবিশন এন্ড সেল’-২০২৩।
স্কুলটিতে বিদ্যায়তনিক লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় শিল্প উপকরণ তৈরির। স্কুল থেকে শেখা কলাকৌশল বাড়িতে বসে প্রয়োগ করে বিভিন্ন হস্তশিল্প প্রস্তুত করে বিদ্যালয়টিতে পড়–য়ারা। আর তাদের তৈরি এসব শিল্প সামগ্রী নিয়ে বার্ষিক একটি প্রদর্শনী করা হয়।
উৎসব ও প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, মোটা শক্ত কাগজ দিয়ে স্কুল-বাস বানিয়েছে কেউ কেউ। কারোর হাতের পরশে সৃজিত হয়েছে স্কুল ভবন। আইসক্রিমের কাঠি সুতা দিয়ে বেধে পেনদানি বানিয়েছে শিশু শিক্ষার্থীরা। বাইস্কোপসহ বাহারি সব শো-পিস তৈরি করেছে অনেকে। কাচের বোতলে রঙিন ফুল এঁকে সুদৃশ্য করে তুলেছে শিশুরা। মাটির তৈরি চায়ের পেয়ালায় রঙ তুলির পরশে করে তোলা হয়েছে মনভোলানো।
১৯টি স্টলে পিঠের সমারোহও ছিল নজর কাড়ার মতো। শীতকালীন অন্যান্য পিঠার মধ্যে ব্যতিক্রমী ছিল মশুরির ডালের পাকান পিঠা।
রঙের ব্যবহারে সুদৃশ্য করে তোলা ১৫টি টি-শার্ট পিঠা উৎসব ও হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে নিলামে তোলা হয়। অভিভাবকেরা একে অন্যের চেয়ে বেশি দামে হাকিয়ে টি-শার্টগুলি কিনে নেন। ১৭ হাজার ১৫০ টাকা দামে টি-শার্টগুলি বিক্রি হয়ে যায়।
ব্রাদার টিটোস হোমের অধ্যক্ষ আলী আজম টিটো জানান, নিলামে বিক্রি হওয়া শার্টের টাকায় কানটুপি কেনা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ইচ্ছেমতো সেগুলি শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করবে।