কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরের পাত্রপাড়া গ্রামে পিতার কাছ থেকে জমি কিনে ছেলে বছির উদ্দিনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক নুরুজ্জামান মাসুদসহ তার পরিবার।
উপজেলার হিজলতলা গ্রামের ১৯৯০ সালে শাহাবুদ্দিন মোড়ল, রাহাজ মোড়ল, তছির মোড়ল, বছির মোড়ল, শাহিনুর মোড়ল ও আব্দুল লতিফ মোড়লের ৩ শতক জমি পাত্রপাড়া গ্রামের শেখ আবু বকর সিদ্দিকের কাছে বিক্রি করেন। জমি বিক্রির সময় বছির উদ্দিন নাবালক থাকায় তার অংশের জমি তার পিতা নাবালকের ওলি হয়ে দলিলে স্বাক্ষর করেন। উক্ত ৩ শতক জমি গত ৩২ বছর ধরে আবু বকর সিদ্দিক বসত বাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছেন। আবু বকর সিদ্দিকের মৃত্যুর পর তার ছেলে শিকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান মাসুদ ওই জমি ওয়ারেশ সূত্রে ভোগ দখল করছেন। অন্য ভাইদের দাবি না থাকলেও সম্প্রতি বছির উদ্দিন মোড়ল তার অংশের হাফ শতক জমি ফেরত পেতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগসহ নানাভাবে নুরুজ্জামান মাসুদকে হয়রানি করে চলেছেন। শিক্ষক নুরুজ্জামান মাসুদসহ তার পরিবারের সদস্যরা বছির উদ্দিনের হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বছির উদ্দীন বলেন, ওই জমি আমার নামে রেকর্ড রয়েছে। তারা জোর করে দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক দপ্তরে অভিযোগ ও যশোর আদালতে মামলা চলমান।
এ বিষয়ে শিকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমাইয়া খানম বলেন, নুরুজ্জামান মাসুদের মত একজন আন্তরিক শিক্ষক এ বিদ্যালয়ে নেই। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সবই মিথ্যা। জমি নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে হয়রানির লক্ষ্যে বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। এসব কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষক মাসুদ নয় বছির উদ্দীন আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরও পড়ুন: