আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বড় স্থল অভিযান শুরু করেছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, আইডিএফ প্রধান এয়াল জামির বুধবার দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পিত স্থল অভিযানের বিরোধিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জামির গাজা উপত্যকায় আইডিএফের অপারেশনাল পরিকল্পনার মূল কাঠামো অনুমোদন করেছেন। এর আগে তিনি হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছিলেন।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা উপত্যকায় বড় ধরনের স্থল অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযানটি মূলত গাজা সিটি ও প্রধান শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামাসের সেল ধ্বংস করার লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত।
যদিও এখন পর্যন্ত স্থল অভিযানের সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি, তবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দিনের পর দিন গাজায় বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২৩ জন নিহত হয়েছেন।
গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা এবং নিয়মিত সংঘর্ষের কারণে এখানকার সাধারণ মানুষকে বড় মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রধান শরণার্থী শিবিরগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাগরিকদের জন্য খাদ্য, পানি ও চিকিৎসার ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামাসের সেল ধ্বংসের জন্য স্থল অভিযান শুরু হওয়া উভয়পক্ষের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই নাগরিক নিরাপত্তা ও মানবিক সাহায্যের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশ এবং জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থা ইসরায়েলের এই অভিযানের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক বার্তা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযান প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের সূত্রপাত করে, যা ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায়।
যদিও আইডিএফ এখনো সুনির্দিষ্ট স্থল অভিযান শুরু করার সময় ঘোষণা করেনি, অভিযান শুরু হলে এটি গাজার সিটি ও শরণার্থী শিবিরের রাজনৈতিক এবং মানবিক পরিস্থিতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই সতর্ক করছেন, নাগরিকদের প্রাণহানি, আহত হওয়া এবং বেসামরিক সম্পদের ক্ষতি ক্রমেই বাড়বে।
আরও পড়ুন: ভারতে মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক
