নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবককে পুলিশের সোর্স সন্দেহে মারধরের অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করে বুধবার আদালতে মামলা করেছেন তার বোন সেলিনা খাতুন। তিনি সদর উপজেলার পুলেরহাট বেড়বাড়ি এলাকার নুর আলমের স্ত্রী। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে শফিয়ার রহমান, ওয়াজেদ আলীর ছেলে আল-আমিন, মতিয়ার গাজীর ছেলে লাদেন, নারায়ণপুর গ্রামের নুর ইসলাম ওরফে নুরু মহুরির ছেলে ইসরাজুল ইসলাম ও বেড়বাড়ি গ্রামের জয়নাল শেখের ছেলে পলাশ হোসেন।
সেলিনা খাতুন মামলায় উল্লেখ করেছেন, লাদেনসহ অন্য আসামিরা গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা সেলিনা খাতুনের ভাই শরিফুলকে পুলিশের সোর্স হিসেবে সন্দেহ করে। এছাড়া আসামিদের মাদক ব্যবসায় কোনো বিঘœ সৃষ্টি হলে তারা শরিফুলকে দোষারোপ করে থাকেন। এ কারণে তারা শরিফুলকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে আসামিরা সেলিনা খাতুনের বাড়িতে চড়াও হয়ে শরিফুলকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। পরে তারা কালাবাগান নামক স্থানের কফি হাউসের সামনে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। তখন সেলিনা খাতুন ভাইকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকে শ্লীলতাহানি ঘটান। সেলিনা খাতুনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান। সেলিনা তার ভাইকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।