নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের পুলেরহাটে আগুন দিয়ে বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার বাসের মালিক শার্শা উপজেলার সোনাতনকাটি গ্রামের এবিএম বদরুল আলম বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি এহাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাদীর আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম।
আসামিরা হলো, সদর উপজেলার পুলেরহাট গ্রামের তাহের আলীর ছেলে আশিক হোসেন, লাল্টু মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম হোসেন, লিটনের ছেলে নুর আলী, কৃষ্ণবাটি গ্রামের জয়নালের ছেলে সহিদুল ইসলাম ও একই এলাকার ইস্রাফিল হোসেন।
বাদী মামলায় বলেছেন, ২০১৯ সালে (ঢাকা-মেট্রো-জ-১৪-০২৫২) নম্বরের একটি মিনিবাস ১৩ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপরে ওই বাসটি মেরামতসহ বিভিন্ন ডেকোরেশন করে খুলনা-সাতক্ষীরা রোডে যাত্রী পরিবহন করে। গত ৩ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাভারণ হয়ে যশোরের পুলেরহাট আসে। এসময় বাসটির সামনে থাকা একটি প্রাইভেটকার পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মারে। এতে করে ওই মোটরসাইকেলে থাকা চারজনের মধ্যে ঐশি নামে একটি মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। আর তার বাবা রুবেল হোসেনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরে মারা যান। কিন্তু পিছন দিক থেকে ধাক্কা মেয়ে প্রাইভেটকারটি দ্রুত চলে যায়। কিন্তু যাত্রীবাহী বাসটি সেখানে অবস্থান করাকালে আসামিরা সেখানে এসে তাদের কাছে থাকা কন্টেইনারে পেট্রোল ঢেলে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে নাভারণ হাইওয়ে, কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস সেখানে আসে। এর আগে বাসটি পুড়ে যায়।