নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের মনিহার এলাকার অদূরে মসজিদের সামনে থাকা দোকান ভাড়ার পূর্ব নির্ধারিত একটি অংশ দীর্ঘ মাস পাচ্ছে না মসজিদ কমিটি। আগে প্রতি মাসে দোকান প্রতি মসজিদের অনুকূলে পৌরসভা এক হাজার টাকা বরাদ্দ দিলেও সেটা বন্ধ রয়েছে। এতে মসজিদের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই চুক্তি অনুযায়ী পূর্বের ন্যায় ভাড়া থেকে টাকা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি জানিয়ে পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসানের কাছে রোববার লিখিত আবেদন করেছে মসজিদ কমিটি।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, পৌর মেয়র রেন্টু চাকলাদার দায়িত্বে থাকাকালীন রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য মসজিদের সামনে পৌরসভার কিছু দোকান ঘর ভাঙা হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের স্বার্থে পৌর কর্তৃপক্ষ, মসজিদ কমিটি ও আরএন রোড ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ আলোচনার মাধ্যমে মসজিদের জায়গায় ভিতরে পুনরায় দোকানঘর নির্মাণ করা হয়। যৌথ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রতি দোকানের ভাড়া আড়াই হাজার টাকা নির্ধারন করে। এর মধ্যে মসজিদের বাবদ এক হাজার টাকা বরাদ্দ বলে পৌর রেজুলেশনের মাধ্যমে গৃহীত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু হওয়ার পর মাত্র ৭ মাস মসজিদের অনকূলে প্রতি দোকান থেকে এক হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গত পৌর মেয়র হায়দার গণী খান পলাশের অসহযোগিতার কারণে ২০২২ সালের মে থেকে চলতি মাস পর্যন্ত মসজিদের অংশের টাকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এর ফলে মসজিদ দারুণভাবে আর্থিক সংকটে রয়েছে। মসজিদের খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
