২ সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দ্বিগুণ
সালমান হাসান
পেঁয়াজ যেন এখন লাটসাহেব। দামের বড্ড ঝাঁঝ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যশোরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে একলাফে ২০ টাকা বেড়েছে। একেক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষের এখন তার নাগাল পাওয়াই ভার। পণ্য মূল্যের উর্ধগতিতে নাকাল ভোক্তাদের তার একার দামের ‘নজরানা’ দিতে গিয়েই পকেট হচ্ছে গড়ের মাঠ।
গত ১০-১২ দিন ধরে চলছে পেঁয়াজের এই উর্ধমুখি প্রবণতা। ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে দাঁড়ায় ৬০ টাকায়। দিনকয়েক আগেও দাম ছিলো ৭০ টাকা। এখন সেটি বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা।
শুক্রবার যশোর শহরের সবকটি বাজারে পেঁয়াজের এই উচ্চদাম লক্ষ্য করা যায়। বড়বাজার, রেলবাজার, বেজপাড়া তালতলা, চাঁচড়া, পালবাড়ি মোড় বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিলো প্রতি কেজি ৯০ টাকা। অবশ্য এরচেয়েও কম দামে পেঁয়াজ ছিলো। তবে সেগুলোর দামও একেবারে কম নয়। প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। হাইব্রিড ও খোসা ওঠা অপেক্ষাকৃত কম মানের পেঁয়াজের দাম একটু কম।
শুক্রবার রেলববাজার থেকে পেঁয়াজ কেনার সময় আলাপচারিতায় সিনথিয়া জামান নামে এক নারী বলেন, পেঁয়াজত এখন লাট সাহেব। তার ‘নজরানা’ এখন অনেক বেশি। সীমিত আয়ের মানুষের ব্যাগে ঢোকার দামে তিনি নেই।
তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগেও ৭০ টাকা ছিল দেশি পেঁয়াজ। আজ পুরোপুরি ৯০ টাকা। বড়বাজারে নজরুল ইসলাম নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, এক পেঁয়াজ কিনলে পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে। তাই হাফ কেজি কিনেছেন। পেঁয়াজের দাম তার মতন সীমিত আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
রেলবাজারে খুুচরা তরকারি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আড়তদারদের কাছ থেকে ৭৫ টাকার উপরে দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনছেন। পরিবহন খরচ যোগ করার পর দাম আরো বেড়ে যাচ্ছে। যার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
যশোর সদরের রাজার হাটের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী সোহাগ ট্রেড্রার্স আব্দুল জব্বার জানান, কৃষকদের তারা ৭০ থেকে ৭২ টাকা দামে পেঁয়াজ কিনছেন। খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তারা ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করছেন।