নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের সাবেক দুই ফুটবলার আনোয়ার পারভেজ ও মুসলিমা আক্তার মলি পেশাদার কোচ হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফে-এএফসি ‘বি ডিপ্লোমা’ কোচিং সার্টিফিকেট কোর্সে তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। বুধবার বাফুফে থেকে দুজনই সদনপত্র পেয়েছেন। বি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করায় বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর ‘বি লিগ’ বলে পরিচিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের সহকারী ও দ্বিতীয় স্তরের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
নিজেদের দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে নিজ শহরে জেলা বা ক্লাব দলের হয়ে ফুটবল কোচিং করালেও এবার তাদের লক্ষ্য আরো বড় পরিসরে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা। আনোয়ার পারভেজ সম্প্রতি শেষ হওয়া যশোর প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের দল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মঈন স্মৃতি সংসদের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে বরিশালের শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের ৬২ বেঙ্গল ফোর্সের ফুটবল টিমের প্রধান কোচের দায়িত্ব রয়েছেন।
১৬ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে আনোয়ার যশোর জেলা দলসহ ঢাকার বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাব, শেখ জামাল ধানমন্ডি, ওয়ারি ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন। একাধিকবার যশোর জেলা দলের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন চৌগাছার সলুয়ার বাসিন্দা আনোয়ার।
তিনি বলেন, ‘আমি লাইসেন্স পেয়েছি, যা আমার বড় অর্জন। যশোর ফুটবলের মান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে চেষ্টা করব।’
মলি ছিলেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক। তবে লাল সবুজ জার্সিতে তার মাঠে নামা হয়নি। ছিলেন রিজার্ভ গোলরক্ষক হিসেবে। তবে ক্লাব ফুটবলে নিয়মিত গোলরক্ষক ছিলেন। ২০১১ সালে খেলেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ২০১৩ তে মোহামেডানে। শেখ জামালে তিনি লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। দেশের প্রথম নারী হিসেবে গোলরক্ষক কোচিংয়ে লেভেল ওয়ান কোর্স করেন মলি। পরে গোলরক্ষকদের কোচিং কোর্সে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ মহিলা লিগে মলি ছিলেন বরিশাল ফুটবল একাডেমির গোলরক্ষক কোচ। আগামীতে আরো উপরে উঠার লক্ষ্য তার।
জানান, ‘বসুন্ধরা কিংস বা অন্য কোনো বড় দলে কোচিং করাতে চাই।’ সাথে জাতীয় দলেও কাজ করার ইচ্ছের কথা জানান তিনি। অনেকেই ফুটবল ছেড়ে সংসারী হয়েছেন। কেউ অন্য পেশায়। কিন্তু মলি আছেন কোচিংয়ে। জানান, এই ফুটবলেই আমি খেলোয়াড় ছিলাম। এখন অবসরের পর কোচিংয়ে এলাম। সে সাথে বর্তমানে মহিলা ফুটবলের সাফল্য, সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবই আরো জনপ্রিয় করেছে মহিলা ফুটবলকে। যা তাকে আরো উৎসাহিত করেছে কোচিংয়ে আসতে।
‘এ’ ডিপ্লোমা কোর্স দেশের মাটিতে কোচিংয়ের সর্বোচ্চ লাইসেন্স। দেশের যে সর্বোচ্চ ডিগ্রি রয়েছে কোচিং এর উপর আপাতত সে সব সম্পন্ন করতে চান আনোয়ার ও মলি। তাদের হাত ধরে সমৃদ্ধ হবে যশোর এবং দেশের ফুটবল তেমন প্রত্যাশা ক্রীড়ামোদিদের।