কল্যাণ ডেস্ক
তৈরি পোশাক খাতে নারীর নেতৃত্ব ও সমতা জোরদারে ঢাকায় ‘শি লিডস দ্য উইভ: তৈরি পোশাক খাতে লিঙ্গসমতা ও নারী নেতৃত্বের বিকাশ’ শীর্ষক সংলাপ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়নে প্রমোটিং গ্রিন গ্রোথ ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টর থ্রু স্কিলস (প্রগ্রেস) প্রকল্প এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নারী সুপারভাইজার, কারখানা কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত, পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫০ জন অংশীজন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
তৈরি পোশাক খাতে নীতিনির্ধারণী স্তরে সিদ্ধান্তগ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ এখনও খুবই সীমিত- উল্লেখ করে প্রগ্রেস প্রকল্পের টিম লিডার ফারজানা আমিন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “মধ্যপর্যায়ের নারী পেশাজীবীদের শীর্ষ নেতৃত্বে উন্নীত হওয়ার সুযোগ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বে একটি বিশেষ কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।”
প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার টি এম আবু সালেহ তার উপস্থাপনায় তৈরি পোশাক খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “খাতটিকে তৈরি পোশাক খাতকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে নিতে হবে । আর এই অগ্রযাত্রায় নারীরা যেন সমানভাবে অংশীদার হতে পারেন—এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।”
প্যানেল আলোচনায় বিজিএমইএ সহ-সভাপতি বিদিয়া অমৃত খান বলেন, “একসময় আমার ব্যবস্থাপনা টিমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর বহু তরুণী কর্মজীবন ছাড়তে বাধ্য হন। এই সামাজিক বাস্তবতা আমাদের আরও দায়বদ্ধ করেছে—নারীদের ধরে রাখতে সহায়ক নীতিমালা ও কাঠামো তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।”
অনুষ্ঠানে নারীর অগ্রগতি নিয়ে একটি নাট্য পরিবেশনা এবং প্রগ্রেস প্রকল্পের জেন্ডারভিত্তিক উদ্যোগের প্রদর্শনীও উপস্থাপিত হয়। এছাড়া পোশাক কারখানায় কর্মরত এক নারী উপস্থিত সবার সঙ্গে তার সংগ্রাম ও সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে সুইডেন দূতাবাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ইকরামুল এইচ. সোহেল বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীর উপস্থিতি এখনো খুবই কম। ‘প্রগ্রেস’ ও ‘অপরাজিতা’–এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে এই ব্যবধান কমাতে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় অভিযুক্ত গৃহকর্মী গ্রেপ্তার
