শাহারুল ইসলাম ফারদিন
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে যশোরের ঈদ বাজার। শহর এবং শহরতলীর বিপনী বিতানগুলোতে প্রতিদিনই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রচণ্ড গরমেও ঈদ উৎসবে মেতে উঠতে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে গরম থেকে রক্ষা পেতে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অভিজাত মার্কেটগুলোতে তরুণ তরুণীসহ সব বয়সী ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
শহরের সিটি প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স, জেস টাওয়ারে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরণের থ্রি পিচ নিতে রুচিশীল মেয়েদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। ব্লুজ ফ্যাশানের স্বত্ত্বাধিকারী খায়রুজ্জামান সুজন জানান, ঈদকে সামনে রেখে রুচিশীল ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে তাদের পছন্দের সব আইটেম দিয়েই দোকান সাজিয়েছেন। বিক্রিও ভালো হচ্ছে এবং সামনের কয়েকদিন আরও বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি। এদিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং গুলোর মধ্যে আড়ং, সেইলর, ইনফিনিটি, ইজি, ইউনিক ফ্যাশানগুলোতে স্বচ্ছল ক্রেতাদের ভিড় বেশি হচ্ছে। বড় বাজারের শাড়ি ব্যবসায়ী আলী হোসেন জানান, এ বছর ঈদে সিল্ক আর জামদানি শাড়ির চাহিদা বেশি। তাছাড়া সিল্ক, বেনারসি, কাঞ্জিবরণ, জামদানি, কারচুপি, কাতান, ঝুট জামদানি, মাচরাইচ ও কটনসহ নিভিন্ন ধরনের শাড়িও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
শহরের কালেক্টরেট মার্কেটের সামনে রিলেটিভ পাঞ্জাবি হাউজ, ঐতিহ্য, কালেক্টরেট মার্কেটের জনপ্রিয় গার্মেন্টস, পাঞ্জাবি হাউজ গুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। কালেক্টরেট মার্কেটের জনপ্রিয় গার্মেন্টসের বিক্রেতা স্বপন আহমেদ জানান, এই বছর বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবির মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান ব্রাশু, গুটি ও টিস্যু। তবে বেশি চলছে সুতি পাঞ্জাবি ও কাবলি। পাশাপাশি গেঞ্জি, শার্ট-প্যান্টও কিনছেন অনেকে।
পোশাকের পাশাপাশি এইচএমএম রোডের জুতা স্যান্ডেলের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় পড়েছে। পোশাকের পাশাপাশি স্বর্ণের দোকানেও এক শ্রেণির ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মত। এছাড়া প্রসাধনীর দোকানগুলোতে নানা বয়সের মেয়েদের ভিড় বেশি। ঈদের বাজার করতে আসা ক্রেতা সাধারণ জানান, বাজারে সব ধরনের পোশাকাদি এবং জিনিসপত্র পাওয়া গেলেও দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে।
সদরের নুরপুর গ্রাম থেকে দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন লাবনী আক্তার। তিনি বলেন, মার্কেটে অনেক ভিড়। এসেছি দুই ছেলে, মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়ি ও নিজের জন্য জামা-কাপড় কিনতে। সব পোশাকের দাম অনেক বেশি। সিটি প্লাজায় ঈদে কেনাকাটা করতে আসা কোহিনুর বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, ১০ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি শপিং করতে। দুই মেয়ের আর আমার জামা কেনাতেই সব টাকা শেষ। জুতা কিনতে পারিনি। পরে আবার এসে জুতা কিনবো।
এদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদকে ঘিরে শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতানগুলোতে আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি যেন না ঘটে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট, শপিং মলের সামনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন।
