কল্যাণ ডেস্ক: বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে জানুয়ারিতে প্রণোদনার হার বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে সরকার। এর পরও বছরের প্রথম মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ২৬ কোটি ডলার বা ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
জানুয়ারিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ১৭০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। গত বছরের একই মাসে যা ছিল ১৯৬ কোটি ডলার। অবশ্য আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স পাঠানো কিছুটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রেমিট্যান্স কমেছে ২৯৬ কোটি ডলার বা ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রবাসী আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে। একটি চক্র প্রবাসীর কাছ থেকে ডলার কিনে বাংলাদেশি সুবিধাভোগীকে টাকা পরিশোধ কর, হুন্ডি হিসেবে যা বিবেচিত। হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্স কমছে বলে ধারণা করছে সরকার। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। করোনাসহ বিভিন্ন কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে অবশ্য হুন্ডি চাহিদা কমায় প্রবাসী আয়ের বেশিরভাগই এসেছিল ব্যাংকের মাধ্যমে। যে কারণে গত অর্থবছর রেমিট্যান্সে রেকর্ড ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।
রেমিট্যান্স কমলেও গত নভেম্বর পর্যন্ত আমদানিতে প্রায় ৫৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। আমদানিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে গত ১৯ আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এর পরও আগস্ট থেকে প্রতি ডলারে ১ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে এখন আন্তঃব্যাংকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গত আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে আবার ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ১৯৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৪৯১ কোটি ডলার।