নিজস্ব প্রতিবেদক
স্কুলে পড়াকালীন প্রথম বিয়ে তার। অবৈধ সম্পর্ক করার দায়ে দশবছরের মাথায় ইতি ঘটে সে সংসার। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামী থাকাকালীন ফের তৃতীয় বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন তিনি। এভাবে তিনটি বিয়ে করেছেন নুর বানু খাতুন ওরফে সাথী (৩৪)। আর এসব বিয়ের পেছনে রয়েছে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের নানা কাহিনি। ঝিনাইদহের মহেশপুরের পান্তাপাড়া গ্রামের এই নারীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন তার দ্বিতীয় স্বামী ঢাকার শাহআলী রূপনগর আবাসিক এলাকার বাবু হোসেন (২৭)।
তার ভাষ্য, তিনি সাথীর নানারকম প্রতারণার শিকার। বিবাহিত-অবিবাহিত যুবকদের একের পর এক ফাঁদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নেওয়ায় তার কাজ। আর এ কাজ করতে গিয়ে সে নিজেকে কখনো সাথী, কখনো নুর বানু নামে পরিচয় দেন।
আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি (বাবু) উল্লেখ করেন, নুর বানু খাতুন ওরফে সাথী স্কুলে পড়াকালে প্রথম বিয়ে করেন চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের দৌলাগন্ধার আলী পুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনকে। সেখানে দশবছর সংসার জীবনে একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বারবার সতর্ক করার পরও কোন সুরাহ না পেয়ে তাকে ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর তাদের বিচ্ছেদ হয়। প্রথম বিয়ের বিষয় গোপন করে ২০২১ সালের ২০ মে তার (বাবু) সাথে সাথী দ্বিতীয় সংসার বাধে। তারা ঢাকার শাহআলী রূপনগর আবাসিক এলাকার বসবাস করতো। বিয়ের কিছুদিন পর বাবুও জানতে পারেন তার একাধিক অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তাকে সতর্ক করা হলে এনিয়ে মাঝেমধ্যে তর্কবিতর্ক হতো। গত মাসের আট তারিখে সকালে তিনি কাজে গেলে তাকে কিছু না বলে বাসার মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়। রাতে তিনি বাসায় এসে বিষয়টি জানতে পারে। তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি বন্ধ পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। দুইদিন পরে মামাতো ভাই আমির আলীর ঢাকার মাহআলীর বাসায় গিয়ে তার সন্ধান মেলে। এসময় তাকে মারধর করে ও হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়। ওই মাসের ১৬ তারিখে ঝিনাইদহের মহেশপুরের পান্তাপাড়া গ্রামে গিয়ে যশোরের বাঘারপাড়া বসুন্দিয়ার বারভাগ গ্রামের আবুল খায়ের মোল্লার ছেলে মাজহারুল ইসলামের সাথে তৃতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন। পরে তিনি প্রতারণার অভিযোগে সাথী, তার বাবা নুরুল ইসলাম, মা জয়নব বেগম, ভাই সবুজ হোসেন ও বর্তমান স্বামী মাজহারুলসহ পাঁচজনের নামে আদালতে মামলা করেন।
এবিষয়ে তৃতীয় স্বামী মাজহারুল জানান, সাথীকে দেখতে গিযে তাড়াহুড়া করে গত মাসে বিয়ে করেছেন। আগে তার একটা বিয়ে হয়েছিল এবং অল্পদিন সংসার করেছে এমনটাই জানিয়েছিল তার পরিবার। প্রথম বিয়ের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
এবিষয়ে সাথীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা জানান ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।