চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব চৌগাছার দপ্তর সম্পাদক কবিরুল ইসলামের ছেলে সাদিনকে (৮) বাঁচাতে দরকার ৪০ লাখ টাকা। জরুরি ভিত্তিতে তার মূত্রথলি ও স্পিন্টার স্থাপন করতে হবে। সন্তানকে নিয়ে সাংবাদিক পরিবার চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। বিপুল অংকের টাকা পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা আদৌ সম্ভব না। সাংবাদিক পরিবার সন্তানের সুস্থ জীবন ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক কবিরুল ইসলাম ও স্ত্রী ফজিলানুন্নেছার সন্তান হচ্ছে সাদিন (৮)। বর্তমানে সাদিন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। জন্ম থেকেই তার ইউরোনারি এক্সট্রোফি ব্লাডার (স্বাভাবিক মুত্রথলি না হওয়া) রোগ ধরা পড়ে। ২০১৬ সালে সাদিনকে খুলনা মেডিকেল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ উন্নত চিকিৎসার জন্য অপারেশনের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে এলাকার গর্বিত সন্তান ঢাকা মেডিকেলের অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পরপর দুই বার অপোরেশন করা হয়। সে সময় বিপুল অংকের টাকা ব্যয় হয়। সাদিনের আরো দুটি অপারেশনের কথা বলা হলেও টাকার অভাবে সম্ভব হয়নি। ফলে ধীরেধীরে শিশু সাদিনের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অত্যন্ত দূরন্ত ও মেধাবী সাদিন বিশেষ প্যান্ট পরিধান করে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। স্বাভাবিক মানুষের মত তার প্রসব হয়না। সে কারণে শিশুতোষ মন সব সময় বিষন্ন থাকে। বারবার বাবার কাছে প্রশ্ন করে আব্বু আমি কি সুস্থ হবো না? কবে আমাকে অপারেশন করাবে। কবে আমি সুস্থ হব। সন্তানের এমন প্রশ্নের উত্তর জানেনা এই পরিবার। শুধু চোখের পানি ঝরিয়ে তাদের দিন কাটছে।
কয়েকবছর অতিক্রান্ত হবার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সাদিনকে পুনরায় ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ডা. মিজানুর রহমান ঢাকা মেডিকেল থেকে অবসর গ্রহন করেছেন। তিনি এখন স্পেশালাইজড হাসপাতালে অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। বিগত দুটি অপোরেশন তিনি করেন। সেকারণে তাকে পুনরায় দেখানো হয়।
এ সময় তিনি জানান, সাদিনের মূত্রথলি ও স্পিন্টার জরুরি ভিত্তিতে স্থাপন করতে হবে। যার ব্যয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা না হলে শিশু সাদিনের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। ওর জীবন হবে দুর্বিষহ। ডাক্তারের পরামর্শ জেনে অসহায় হয়ে পড়েছেন সাংবাদিক পরিবার। দিশেহারা তারা। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। দেড় দশক গণমাধ্যমে কাজ করে দেশ ও মানুষের কথা লিখেছেন সাধিনের পিতা কবিরুল ইসলাম। শেষমেষ তার আশা ভরাসার ঠিকানা গণমাধ্যম। আর সেই গণমাধ্যমেই তিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া বিত্তবানরা সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। যোগাযোগ-০১৯২৭-১৭২৫৩৫
