মণিরামপুর প্রতিনিধি: মণিরামপুরের দেলুয়াবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন রায়। তবে তিনি কোন নীতিমালার প্রতি তোয়াক্কা না করেই বনে গেছেন প্রধান শিক্ষক পদে। তার এ কর্মক্ষেত্র নিয়েই বৈধতার প্রশ্ন উঠেছে। খোদ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে তার চাকরির বিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবুও তিনি বহাল তবিয়তে সরকারি বেতন ভোগ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ ২০১৯ নীহার রঞ্জন রায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন মণিরামপুরের দেলুয়াবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তার বেতন সূচক সংখ্যা ৫১৬৩৫৯। তার কর্মজীবন শুরু যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলাধীন নারকেলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে।
এর পর যশোর সদরের সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেছেন ৭ বছর ১৪ দিন।
চাকরি বিধি অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক হতে গেলে ১২ বছরের পূর্ণ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন থাকলে নীহার রঞ্জন ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন কর্ম অভিজ্ঞতা নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। এভাবে বে-আইনিভাবে ধাপে ধাপে তিনি বনে গেছেন প্রধান শিক্ষক।
তার অনিয়ম, অসংগতি নিয়ে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম তদন্ত করেছেন। তিনি ২৮/০৭/২০২২ ইং তারিখে সংশ্লিষ্ট মহা-পরিচালক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে নীহার রঞ্জন রায় সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিতে নীতিমালা অনুসরণ করেননি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে নীহার রঞ্জন রায় কোন মন্তব্য না করেই ফোনের সংযোগটি কেটে দেন। তবে তার বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি আনিছুর রহমান তজু বলেন, যদিও আমার হাত দিয়ে নিয়োগ হয়নি তার। তাছাড়া সভাপতিরা তো এসব কিছুই বোঝেন না। নিয়োগ বোর্ডের সরকারি কর্মকর্তারা কি অন্ধ ছিলেন ?
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ পত্র না দেখে এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।
জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।