নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা হারুন অর রশিদ খান হারুনকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামে এই ঘটনার পর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আটক হারুন খান শাখারীগাতি গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত ইসহাক খানের ছেলে এবং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি শাখারীগাতি এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও শাখারীগাতী এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ হারুন খান ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই গ্রামের উত্তরপাড়ার এক প্রবাসী স্ত্রীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে। সন্দেহ হলে কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়রা ঘর ঘিরে ফেলেন এবং তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলে। মুহূর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় হারুন-অর-রশিদকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। রাতেই তাকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনেও ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
তবে আটক হারুন খান বলেছেন, পাওনা টাকা আনতে গিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এব্যাপারে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কবির হোসেন জানিয়েছেন, হারুন অর রশিদকে স্থানীয়রা আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে দিয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসির পরিবার থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ না দেয়ায় শুক্রবার সন্দেহ মূলক ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।