ডেস্ক রিপোর্ট: এ যেন প্রবাদ প্রবচনের সেই কাজির গরু। যা কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই। কারণ কাগজে কলমে সব ধরণের কোচিং বন্ধ ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু বছরের অন্য সময়ের মতোই সরগরম রাজধানীর ফার্মগেট।
কোনো কোনো কোচিং সেন্টার বাইরে থেকে বন্ধ, ভেতরে খোলা। কেউ আবার কোনো রাখঢাক ছাড়াই চালাচ্ছেন। দৌড়ঝাঁপে ভাটা পড়েনি শিক্ষার্থীদের মাঝেও। প্রতিটি রুম গমগম অবস্থা। কেউ ক্লাসে টিচার আসার অপেক্ষায়। কেউ আবার ক্লাস করাচ্ছেন।
প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসেবে সরকারি কড়া নির্দেশনা থাকলেও কেন এই ব্যত্যয়, জানতে চাইলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী দু’পক্ষেরই অজুহাত আর খোঁড়া যুক্তি। আর বিষয়টা যে ভুল তা না ভেবে উল্টো স্বপক্ষে সাফাই গাইলেন অভিভাবকরাও।
অভিভাবকরা জানান, ক্লাসে পড়ার পরও কিছু কিছু বিষয় বাচ্চারা বুঝে না, এছাড়া অভিভাবকরা ব্যস্ত থাকায় সন্তানদের সময় দিতে পারে না।
এ নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তারপরও জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবো এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। তিনি আরও জানান, প্রশ্নফাঁস রোধে ও বিতরণে এবারে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও এবং জেলা প্রশাসককে সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, নকলমুক্ত একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এবারের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, যেন কোনো নেতিবাচক ঘটনা না ঘটে, সেটি আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৬ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ইতোমধ্যে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর প্রশ্ন বিতরণে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। এ বছর মোট দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।