নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনে বাতিল হওয়া সেই ১৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন। গত সোমবার ও মঙ্গলবার জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম বাতিলের সার্টিফাইড কপি নিয়ে ঢাকার আগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছেন তারা। বেশিরভাগ মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জটিলতা নিয়ে।
আবেদন করা ব্যক্তিরা হলেন- যশোর-১ (শার্শা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হাসান ও সোহরাব হোসেন, জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামান, যশোর-২ (ঝিকরগাছা- চৌগাছা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র প্রার্থী শামছুল হক, যশোর-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির মো. কামরুজ্জামান, জাকের পার্টির মহিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ ও শহিদুল ইসলাম মিলন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ নুরুজ্জামান, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সন্তোষ কুমার অধিকারী, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাভলু, হুমায়ুন সুলতান, কামরুল হাসান বারী, জাকের পার্টির হাবিবুর রহমান এবং যশোর-৬ (কেশবপুর) স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর ইসলাম ও হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাভলু বলেন, ‘এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জটিলতা নিয়ে আমার মনোনয়ন বাতিল হয়েছিলো। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আবদেন করেছি। আশা করি আমার মনোনয়ন ফেরত পাবো।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর ইসলাম বলেন, আয়করের কাগজপত্র জটিলতায় আমার মনোনয়ন বাতিল হয়েছিলো। সকল ডকুমেন্টসহ নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। আশা করি প্রার্থিতা ফেরত পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিবো।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ৪৬ জন প্রার্থী। গত রোববার যাচাই বাছাইয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বাতিল করেন ১৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন। একই সাথে ২৮জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১১ জন। তারা সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশের নাম-স্বাক্ষরের গ্যাড়াকড়ে বাদ পড়ে। আর বাকী ৭জন হলফনামা ও আয়কর তথ্যের গড়মিলে বাদ পড়েছে।