নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে ভোটারদের ছবি সংগ্রহ করছে কর্তৃপক্ষ। ছবি না থাকলে ভোটারদের চেনা যাবে না বলে মত দিয়েছেন প্রার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কঠোর হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
ভোটারদের ছবিযুক্ত ভোটার পরিচয়পত্র না করার কারণে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় অনেকের ছবি নেই, আবার যাদের ছবি রয়েছে তা বহু পুরনো ও অস্পষ্ট। একারণে একজনের ভোট অন্য কেউ দিতে আসলে সনাক্ত করা যাবে না।
আগামী ৭ জানুয়ারি যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোট গ্রহণ। শহরের কালেক্টরেট স্কুলে এই ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু, সাজ্জাদুর রহমান সুজা ও ইদুল চাকলাদার। ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবীর কবু-মিজানুর রহমান ও আসাদুজ্জামান মিঠু।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্য শেখ আতিকুর বাবু বলেন, সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রয়োজন ছবিযুক্ত ভোটারের পরিচয়পত্র। যা দেখে প্রকৃত ভোটার সনাক্ত করা যাবে। কেন না চেম্বারের ভোটার তালিকায় অনেকের ছবি নেই, আবার যাদের রয়েছে তা বহু পুরনো। চেনা যাচ্ছে না। যে কারণে আমরা দাবি করেছিলাম ছবিযুক্ত ভোটার পরিচয়পত্র দিলে ভোট গ্রহণযোগ্য হবে। বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাচন বোর্ড ভোটারদের ছবি সংগ্রহ করছেন বলে জেনেছি।
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কর্মকর্তা মুরাদ আলী বলেন, আমরা ভোটারদের ছবি সংগ্রহ করছি। অনেকে ফোন ধরছে না। যে কারণে ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ছবি না থাকলে ভোট প্রদানে সমস্যা হতে পারে। এজন্য আমরা ভোটারদের ছবি আমাদের দপ্তরে জরুরিভাবে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করছি।
এব্যাপারে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ বলেন, আমরা ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা করা হচ্ছে। এছাড়া প্যানেলের পোলিং এজেন্ট থাকবে। তারা ভোটারদের নিয়ে আপত্তি করলে আমরা প্রকৃত ব্যক্তি সনাক্তের উদ্যোগ নেব। সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।