সাড়াতলা (শার্শা) প্রতিনিধি
শ্রাবণী আক্তারের (১৫) বাড়ি শার্শার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালি গ্রামে। মোবাইল ফোনে প্রেম করেছিলেন চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়নের বাড়িয়ালী গ্রামের মুন্নার (১৮) সাথে। গতকাল বেলা ১১ টার দিকে তারা দেখা করেন ঝিকরগাছার ছুটিপুর বাজারে। এরপর সেখান থেকে মিশ্রিদেয়াড়া বাজারের যান। এ বাজারের রবিউলের হোটেলে তারা নাস্তা করার পর অসুস্থ হন শ্রাবণী। এরপর মারা যান। তার এই মৃত্যুর খবর নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত হতে গতকাল রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকসহ হোটেল মালিকের ছেলে আবিরকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: তারাগঞ্জে দারুল উলুম মাদ্রাসার ২য় শাখার উদ্বোধন
নিহতের পিতা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শার্শার টেংরালী গ্রামের আমজেদ খালাসীর মেয়ে শ্রাবণী আক্তার পাকশিয়া সম্মিলনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার সাথে চৌগাছার পাশাপোল গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মুন্নার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে বিয়ে করবে বলে প্রেমিক মুন্না গতকাল মোবাইল ফোনে ছুটিপুর বাজারে আসতে বলে। এদিন সকালে বাড়ি থেকে মেয়েটি নিজের জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে বের হন। পরে ছুটিপুর বাজার থেকে প্রেমিক মুন্নাসহ তার তিন বন্ধু মিলে শ্রাবণীকে ঝিকরগাছার মিশ্রিদেয়াড়া বাজারের রবিউলের হোটেলে তার ছেলের নিকট নাস্তা খেয়ে বের হলে অসুস্থ হয়। চিকিৎসার জন্য প্রেমিক মুন্নাসহ তার বন্ধুরা ছুটিপুর বাজারের সীমান্ত ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এরআগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ প্রেমিক মুন্না সহ তার বন্ধুরা পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
ক্লিনিকের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রেমিক মুন্নাকে আটকে রাখেন। আর সুযোগ বুঝে মুন্নার দুই বন্ধু পালিয়ে যায়।
ডিহি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ধরে ডেকে নিয়ে প্রেমিকসহ তার বন্ধুরা মেয়েটিকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় মেয়েটির লাশ ছুটিপুর সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃতের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক মুন্নাসহ হোটেল মালিকের ছেলে আবিরকে থানায় নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্দা নামলো নাট্যোৎবের
