নিজস্ব প্রতিবেদক
ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন নিয়ে সরকারি হাসপাতালে বসে রোগীর প্রেসক্রিপশনে হারবাল ওষুধ লেখার ঘটনা বেশ পুরোনো। তবে এ নিয়ে খুব বেশি উচ্চবাচ্য করতে শোনা যায়না দায়িত্বশীলদের। তবে এবার এক চিকিৎসককে অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদ বলেন, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বারবার হারবাল ওষুধ লেখার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সদরের রামনগর এলাকার প্রিয়া আাক্তারসহ একাধিক রোগীদের অভিযোগ করোনারি কেয়ার ইউনিটের নিচতলায় চার নাম্বার রুমে মহিলা মেডিসিনে চিকিৎসা নিতে আসলেই হারবাল ওষুধ রেখে দেন। যার দামও বেশি। তাদের অভিযোগ ওই চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির কাছে কমিশন নিয়ে ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন।
এদিকে, গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায় তাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওইরুমে রোগীদের চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন মেডিকেল অফিসার ডা. সুস্মিতা বিস্বাস। তিনি বলেন, কি কারণে ওই চিকিৎসককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই। বহিঃবিভাগের চার নাম্বার রুমের নামে রেজিস্ট্রেশনবিহীন ওষুধ লেখার অভিযোগ রয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কি হয়েছে বা করেছে তা আমার জানা নেই আমি সরকারি চাকরি করি, যেখানে যখন পাঠাবে আমি আমার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাবো ও রোগীদের সেবা করে যাবো। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সাথে কথা বললে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর একই রুমে চিকিৎসাপত্র দেওয়াতে বিষয়টি দৃষ্টিকটু দেখায় তায় হাসপাতালের সুপার তার রুম চেঞ্জ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ জানান, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকার নিবন্ধনহীন ওষুধ রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লেখার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তিনি হারবাল ওষুধ রোগীদেরকে দিয়ে থাকেন। তাই তাকে সতর্কতামূলক তার রুম চেঞ্জ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের কোন চিকিৎসক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে সরকার নিবন্ধনবিহীন কোন ওষুধ সাজেস্ট করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:আ.লীগের ১২ ও বিএনপির ৬ জন এমপি হতে চান