নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার হাত ধরে পরিবেশ রক্ষায় ভিন্নধর্মী এক ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়েছে। ‘আপনার ফেলে দেয়া ফলের বীজ, আগামী দিনের অক্সিজেন ফ্যাক্টরি’ স্লোগান নিয়ে শহরের খড়কিস্থ প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে ‘আইডিয়া বীজ ব্যাংক’। ফলের উচ্ছিষ্ট বীজ সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সেগুলো রোপণ করতেই এমন নান্দনিক উদ্যোগ। বুধবার সকালে শহরের ভোলা ট্যাঙ্ক রোডে (যশোর জিলা স্কুলের সামনে) বীজ ব্যাংকের বুথ স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।
আইডিয়া বীজ ব্যাংকের সমন্বয়ক দীপ্ত সিংহ জানান, বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে প্রতিনিয়ত। এজন্য ফেলে দেয়া ফলের বীজ সংগ্রহ করে সেগুলো রোপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বীজ ব্যাংকের বুথে জমা পড়া বীজ আইডিয়ান’রা বপন করা ছাড়াও নার্সারি মালিক ও বপনে আগ্রহী বৃক্ষপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিবে বিনামূল্যে। আমাদের এই প্রচেষ্টা দেখে যদি প্রত্যেকে নিজ এলাকা কিংবা বসতবাড়িতে বীজ ব্যাংক গড়ে তোলেন তাহলে একদিন প্রকৃতি সবুজে ছেয়ে যাবে।
আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক বলেন, জনসচেতনতা তৈরিতে আইডিয়া বীজ ব্যাংক আমার ছেলেমেয়েদের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। ফল খেয়ে আঁটি যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে বপন করলেই পরবর্তীতে গাছে রূপ নিবে। এভাবে আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির আঙিনায় যদি বীজ বপন করি তাহলে প্রকৃতি হয়ে উঠবে বাসযোগ্য। আর যাদের বাড়ির আঙিনায় করার সুযোগ নেই তাদের জন্য আইডিয়া বীজ ব্যাংক রইলো! মূলত বীজকে বাঁচাতে হবে নিজেদের স্বার্থে, এটিই পারবে আমাদের পরিবেশের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে ও পরবর্তীতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে।’
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে তারা যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ণ লোকালয়ে পাইলটিং হিসেবে ২০টি বীজ ব্যাংক বুথ স্থাপন করেছেন। মানুষের আগ্রহ সাপেক্ষে শতাধিক এমন বীজ ব্যাংক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোমা খান বলেন, আনন্দ হচ্ছে আমার সংগঠন এমন একটি কাজ করছে ভেবে। না বুঝে প্রতিদিন আমরা কতো আঁটি ফেলে দিই, অথচ বিনামূল্যে ওই আঁটিই হতে পারে ভবিষ্যতে আমাদের অক্সিজেন ব্যাংক। সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে আহ্বান তারাও এই কাজে অংশ নিয়ে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসুক।