এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের খরুসা গ্রামের মাঠে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হবে। যা পূরণ হতে শত বছর সময় লাগবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, খরুসা গ্রামের মাঠে খননযন্ত্র দিয়ে দেড়-দুই ফুট গভীর করে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাকে বোঝাই করা হচ্ছে। অথচ চলতি মৌসুমেও এ জমিতে বোরোধান চাষ হয়েছিল। বছরে অন্তত দুইবার ধানের আবাদ করা যায় এসব জমিতে। তারপরও দালালের খপ্পরে পড়ে অজ্ঞাত কারণে জমির মালিকরা নামমাত্র টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করছেন।
খননযন্ত্রের চালক আপন হোসেন বলেন, পাশের নির্বাসখোলা কলেজিয়েট স্কুল এলাকায় অবস্থিত ‘নাভারণ ব্রিকস’ নামের একটি ইটভাটায় এ মাটি নেয়া হচ্ছে। ইটভাটা মালিকের এজেন্ট খরুসা গ্রামের ইউনুস আলী এসব মাটি কাটাচ্ছেন। গত পাঁচদিন ধরে এ মাঠে মাটি কাটা হচ্ছে।
খরুসা গ্রামের আমেনা খাতুন বলেন, মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের ধুলা-বালুতে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটিকাটা বন্ধ না হলে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের জন্যে রাস্তায় হাঁটাও কষ্ট।
খরুসা গ্রামের ইউনুস আলী বলেন, যেসব জমি উঁচু সেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। আর এই মাটি কাটার জন্য সবাইকে টাকা দেয়া হয়। এ নিয়ে পেপারে লেখার দরকার নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, জমির মূল উর্বরতা শক্তি থাকে মাটির উপরিভাগে। যাকে টপ সয়েল বলে। এটা কেটে নিলে তার উর্বরতা শক্তি সঞ্চয় করতে সময় লাগে শত বছর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, এভাবে মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আর জনভোগান্তি হয় এমন কাজ করতে দেয়া হবে না। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।