আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে ফিলিস্তিনের সমর্থকদের একটি ছবি প্রকাশ করে সংহতি জানান তিনি।
জনপ্রিয় ব্রিটিশ অভিনেত্রীর সংহতি প্রকাশে সমর্থন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি জনগন। এদিকে এমা ওয়াটসনের এমন আচরণের আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় শিক্ষাবিদ সারা আহমেদের পোস্টের পরই এমা ওয়াটসন ওই সংহতি প্রকাশের ঘোষণা দেন যোগাযোগমাধ্যমে।
ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন জাতিসংঘের নারীবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত। সংহতি প্রকাশ করে তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফিলিস্তিনের পতাকা এবং #ফ্রি প্যালেস্টাইন ও #প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি লিখে পোস্ট করেন।
এদিকে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান এর সমালোচনা করে এক টুইট বার্তায় লিখেন, ‘হ্যারি পটারে কল্পকাহিনী কাজ করতে পারে। তবে তা বাস্তবে কাজ করে না।’ তিনি আরো লিখেন, ‘যদি এমন হতো তাহলে জাদুকরী বিশ্বে ব্যবহৃত জাদু হামাস (যা নারীদের নিপীড়ন করে ও ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চায়) এবং ফিলিস্তিন অথোরিটি (যা সন্ত্রাসকে সমর্থন করে)-এর ক্ষতি দূর করতে পারে। তাহলে আমিও এর পক্ষে থাকব!’
গত বছরের মে মাসে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ভয়াবহ হামলার পর সংহতি জানিয়ে ছবিটি প্রকাশ পায়। ওই সময় বেলা হাদিদ ও সুসান সারানডনসহ বিশ্বের অনেক সেলিব্রিটি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানায়।
এর ক্যাপশনে ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান অ্যাক্টিভিস্ট সারা আহমেদের একটি উদ্ধৃতি আছে, ‘সংহতি এটা নয় যে আমাদের সংগ্রাম একই সংগ্রাম বা আমাদের ব্যথা একই ব্যথা হবে। অথবা আমাদের আশা অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য। সংহতির সঙ্গে অঙ্গীকার ও কাজ জড়িত। পাশাপাশি তা একথার স্বীকৃতি দেয় যে আমাদের অনুভূতি বা জীবন বা একই দেহ না হলেও আমরা সাধারণ ভূমিতে বসবাস করি।’
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রের অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন এমা। ৯ বছর বয়সে তিনি অভিনয় করেন। এর আগে তিনি বিদ্যালয়ের মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।
২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওয়াটসন হ্যারি পটারকে ঘিরে নির্মিত ধারাবাহিকভাবে প্রথম ছয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। হ্যারি পটার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেন। এসব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি আয় করেন এমা। এই অভিনেত্রী বর্তমানে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন, এর পাশাপাশি তিনি লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।