এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
যশোরের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার ফুলচাষ প্রসার ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন। বুধবার বিকেলে তিনি ঝিকরগাছার ফুল কানন পানিসারা-হাড়িয়া ফুলমোড়ে চারদিন ব্যাপি ফুল উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যশোর জেলার ব্র্যান্ডিং’র প্রথম লাইনের প্রথম শব্দ হল ফুল। ফুল হলো যশোর জেলা ব্র্যান্ডিং। তাই ফুলচাষকে সম্প্রসারণ ও বিপণন বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি প্রতিবছর ফুল উৎসবকে আরও কলেবর বৃদ্ধি করার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষে আশ্বস্ত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান, ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রশিদুল আলম ও থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ। এছাড়াও বক্তব্য দেন যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম, উদ্যোক্তা ও ফুলচাষি সাজেদা বেগম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুজ্জামান ও প্রভাষক ফারহানা হক। রাতে মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
ফুলের রাজধানী রাজধানী খ্যাত ঝিকরগাছায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ উৎসব চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ উপলক্ষ্যে গদখালী-পানিসারা-হাড়িয়া মোড় সেজেছে অপরুপ সাজে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন করে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিন নারী ফুলচাষিদের নিয়ে উঠান বৈঠক, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, তৃতীয় দিন কৃষক সমাবেশ, সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঝিকরগাছার গদখালী অঞ্চলে ১২ শ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এ এলাকার ৬ হাজার পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতি বছর সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন করা হয়।