চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধি
যশোর সদরের হৈবতপুরে ফেসবুকে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারী ও ইউপি সদস্যসহ উভয় গ্রুপের ১২ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের উত্তর ললিতাদাহ গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানান যায়, বুধবার রাতে ইউনিয়নের ললিতাদাহ গ্রামের মোতালেব হোসেনের মেয়ে রুপা খাতুন ও মাসুদের ছেলে বিল্লাল হোসেনের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে একটি পারিবারিক শালিস হয়। এ শালিসে ৬ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম উভয় পরিবারকে ৫০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। এসময় জরিমানার টাকা মেম্বার রহিমের নিকট জমা রাখার কথা বলা হয় এবং মেম্বার উভয় পক্ষকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
এ শালিসে দোষগুন বিচার না করে উভয় পরিবারকে জরিমানা করায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায় ভিডিওতে মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ছেলে ও মেয়ের পিতা। ভিডিওটি উত্তর ললিতাদাহ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে সাদ্দাম মির্জা বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেন।
সাদ্দাম মির্জা জানান, ‘এ অভিযোগের ভিডিও প্রকাশ করায়। মেম্বার রহিম তার ভাই মিলন কয়েকজন নিয়ে নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রতিবেশীরা ঠেকাতে আসলে দেলোয়ার হোসন, শ্যামলী আক্তার, সাজিদা খাতুন, মিলন হোসেন, আবুল হোসেন, মানছুরা বেগম, আনোয়ার হোসেনকে ব্যাপক মারপিট করে আহত করে।
ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম জানান, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই সাবেক মেম্বারের ছেলে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সব সময় এলাকায় বিভিন্ন মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য পোস্ট করার পাশিপাশি প্রচার করে বেড়ায়। বৃহস্পতিবার সে আমার বিরুদ্ধে সর্ম্পূন মিথ্যা একটি বিষয় নিজে ভিডিও করে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। আমি দুপুরে তার নিকট বিষয়টি জানতে চাওয়ার সাথে সাথে আমার উপর হামলা চালায়। তারা এ সময় আমার সাথে থাকা ছোট ভাই মিলনকেও ব্যাপক মারপিট করে আহত করে।
ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইকরামুল হক জানান, ফেসবুকে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়। গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে সাবেক ও বর্তমান মেম্বারের ভিতর উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।