ঢাকা অফিস
বাংলাদেশকে মোট ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করল আইএমএফ। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার নিয়ে চিন্তা কমলো বাংলাদেশের।
অবিলম্বে আইএমএফ ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বাংলাদেশকে দেবে। শেষ কিস্তির টাকা আসবে ২০২৬ সালে।
৪৭০ কোটির মধ্যে ৩৩০ কোটি ডলার দেয়া হচ্ছে এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফেসিলিটি ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফেসিলিটি ব্যবস্থা অনুসারে। আর বাকি ১৪০ কোটি ডলার দেয়া হবে নবগঠিত রেসিলিয়েন্স ও সাসটেনেবিলিটি ফেসিলিটি(আরএসএফ)-র অধীনে। বাংলাদেশই হলো এশিয়ার প্রথম দেশ, যারা আরএসএফের থেকে অর্থসাহায্য পেলো।
প্রথমে করোনা ও পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ পড়ে। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি বেড়েছে, টাকার দাম কমেছে, বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও কমেছে বলে আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী গঠনগত পরিবর্তন, জয়বায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য তাদের সাহায্য প্রয়োজন।
অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন যে আইএমএফ আমাদের এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিলেন, আমাদের অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলি দুর্বল, তাই আইএমএফ এর ঋণ আমরা পাব না। এখন এটাও প্রমাণিত হল যে, আমাদের অর্থনীতি শক্ত ভিতের উপরে দাড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তা ভালো।-মুস্তফা কামাল, অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেছেন,”আমরা আইএমএফের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে আইএমএফের এই ঋণ মঞ্জুরির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতার প্রকাশ ঘটেছে।”
তিনি বলেছেন, ”অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন যে আইএমএফ আমাদের এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিলেন, আমাদের অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলি দুর্বল, তাই আইএমএফ এর ঋণ আমরা পাব না। এখন এটাও প্রমাণিত হল যে, আমাদের অর্থনীতি শক্ত ভিতের উপরে দাড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তা ভালো।”
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ”রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, আরও দক্ষ একটি আর্থিক খাত গড়ে তোলার মত দীর্ঘদিনের চালেঞ্জগুলো আলোচনায় এসেছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ ও রপ্তানি বহুমুখীকরণে উৎসাহ দিলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সহনশীল করে তুলতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।”
#
