কল্যাণ ডেস্ক: বডি ওডর বা শরীরে ঘামের কারণে দুর্গন্ধের সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। ঠিক সেভাবে আন্ডার-আর্ম বা বগলের দুর্গন্ধও আমাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর একটি বিষয়। এর কারণে বাইরে বের হলে অন্যের সামনে অনেক সময় আমাদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়, আর বিষয়টা নিজের কাছেও লজ্জাজনক।
বগলে দুর্গন্ধের কারণ
আমাদের বগলে যে অ্যাপোক্রাইন গ্ল্যান্ডস বা গ্রন্থি থাকে, সেখান থেকে মূলত এক ধরনের গন্ধহীন তরল পদার্থ নির্গত হয়, যাকে আমরা বগলের ঘাম হিসেবে জানি। এই ঘামে তখনই গন্ধ যুক্ত হয়, যখন তা আমাদের ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে। এই গ্রন্থি বয়ঃসন্ধিকালের আগ পর্যন্ত কাজ করে না। তাই বয়ঃসন্ধিকালের পরেই সাধারণত আমাদের শরীরে ঘামের গন্ধ পাওয়া যায়। আবার অনেকের শরীরে অন্যদের তুলনায় বেশি ঘাম হয়। এমন ব্যক্তিদের হাত, পা এবং বগল অনেক বেশি ঘামে। এই ধরনের সমস্যাকে বলা হয় হাইপার-হাইড্রোসিস। যদি এই সমস্যা অনেক বেশি প্রকট আকার ধারণ করে তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
অনেক সময় সঠিকভাবে নিজেদের শরীর পরিষ্কার না করার কারণেও বগলে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই সঠিকভাবে নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
বগলে দুর্গন্ধের প্রতিকার
১। প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল—যে কোনো ধরনের কাজ, যাতে ঘাম নির্গত হয়, যেমন শরীরচর্চা বা খেলাধুলার পর ঘাম এবং শরীরের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে ভালো মানের সাবান দিয়ে গোসল করে ফেলতে হবে।
২। ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরা—কোনো ব্যক্তি যদি অনেক বেশি ঘামে, তবে তার জন্য ঢিলেঢালা সুতি পোশাক বেশ ভালো একটা অপশন হতে পারে। ঢোলা সুতি পোশাকের মধ্য দিয়ে বাতাস চলাচলের কারণে শরীর অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকে।
৩। ওয়্যাক্স করা—আন্ডার-আর্ম ওয়াক্স করার ফলে তা আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিষ্কার থাকে এবং পরিষ্কার আন্ডার আর্মে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কম হয়। এতে ঘামও কম হয়।
৪। ভালোমানের বডি স্প্রে ব্যবহার—গোসলের পর ভালো মানের ডিওডোরেন্ট এবং বাইরে যাওয়ার আগে ভালোমানের পারফিউম আপনাকে ঘামের দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
তবে সব ধরনের উপায় প্রয়োগ করার পরেও যদি আপনার আন্ডার আর্মের দুর্গন্ধ না কমে, তবে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।