নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (বালক) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব (বালিকা) জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুুর্নামেন্টের যশোর জেলা পর্যায়ের ফাইনালে উঠেছে মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা। বুধবার শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে বালক বিভাগের সেমিফাইনালে মণিরামপুর সাডেন ডেথে যশোর পৌরসভা দলকে পরাজিত করে। নির্ধারিত সময় ২-২ গোলে শেষ হয়। পরে টাইব্রেকারও তিন শর্টে বল জালে জড়াতে পারেন উভয় দল।
একই মাঠে বালক বিভাগে জিতলেও বালিকাতে হেরেছে মণিরামপুরের মেয়েরা। তাদেরকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কেশবপুরের বালিকারা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় মণিরামপুর ও যশোর পৌরসভা। উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ ম্যাচে প্রথমার্ধের নয় মিনিটে মামুন হোসেনের গোলে এগিয়ে যায় মণিরামপুর উপজেলা। এই গোলের লিড ধরে রেখে বিরতিতে যায় মণিরামপুরের খেলোয়াড়রা।
বিরতি থেকে ফিরে মুরসালিনের গোলে ম্যাচের ৫২ মিনিটে সমতায় ফেরে যশোর পৌরসভা। এর পাঁচ মিনিট পরেই আবার গোল হজম করে বসে যশোর পৌরসভা। গোলটি করেন ইমাম উদ্দিন। এই গোল উৎসবের ইমেজ কাটতে না কাটতেই আবারও সমতায় ফেরে পৌরসভা। ৫৮ মিনিটে গোলটি করেন নাহিদ। খেলার বাকি সময়ে আর কোন গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও ৩-৩ গোল সমতা। পরে সাডেন ডেথের জয় নিয়ে ফাইনালে মাঠ ছাড়ে মণিরামপুরের বালকরা। এই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে বিজয়ী দলের ইমরান উদ্দিন।
একইস্থানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে অংশ নেয় দুই প্রতিবেশি উপজেলা কেশবপুর ও মণিরামপুর। এ ম্যাচে ১-০ গোলে জয় নিয়ে শিরোপার মঞ্চে লড়াইয়ে নামার সুযোগ নিশ্চিত করে কেশবপুর উপজেলা। ১৫ মিনিটে ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারক গোলটি করেন রিয়া। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হন কেশবপুরের প্রিয়া। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান।