নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের বঙ্গবাজারে দিন দুপুরে ওষুধের দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল ও টাকা লুটের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চৌধুরী ফার্মেসি অ্যান্ড সার্জিক্যালসের সত্ত্বাধিকারী সোহেল রানা তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। আসামিরা হলেন, শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার কাজী শহিদুল হক নাদিম, সদর উপজেলার রাজারহাটের আহাদ আলী ও ঝুমঝুমপুরের রাজু আহম্মেদ। তবে মামলা হলেও এই ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার এবং মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছেন, সোহেল রানা ৭০ লাখ টাকায় বঙ্গবাজারের ১২ ও ১৩ নাম্বার দুইটি দোকানের পজিশন কেনেন শহিদুল হক নাদিমের কাছ থেকে। ৩শ’ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তিপত্র লেখা হয়। শহিদুল হক নাদিম এরই মাঝে সোহেল রানাকে জানান তার নিউ মার্কেটে থাকা একটি ফ্যাক্টরি বিক্রি করবেন। ওই ফ্যাক্টরি কিনতে রাজি হন সোহেল রানার ভাই সোলাইমান চৌধুরী।
শহিদুল এক পর্যায় সোলাইমানের কাছ থেকে একটি চেকও গ্রহণ করেন। গত দুই মাস আগে হঠাৎ দোকান ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন শহিদুল। এক পর্যায় হুমকি ধামকি দেন। শেষমেষ গত ২৫ ডিসেম্বর ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে শহিদুল হক নাদিম। টাকা না দেয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে শহিদুল গাড়িখানা রোডের অফিসে ডেকে নিয়ে যান সোহেল রানাকে। এরপর তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই দোকানের চুক্তিনামার মূল কপি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। যা ভিডিও করেও রাখেন শহিদুল। এরপরে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেন। সর্বশেষ গত ৪ মার্চ দুপুরে অভিযুক্তরা দোকানে গিয়ে প্রকাশ্যে বস্তায় করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান। যার দাম ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্যাশ বাক্সে থাকা আরো পাঁচ লাখ টাকাও লুট করে নেয়। সর্বমোট ৫৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।