নিজস্ব প্রতিবেদক
রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের অন্যতম বিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’। এটা কবির অমর সৃষ্টি; তবে কবিতার মর্মার্থ আবিষ্কার করা নিয়ে আছে বিস্তর রহস্য। বিভিন্ন সাহিত্য সমালোচক এ প্রসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রদান করেছেন যা বনলতা সেনকে নিয়ে আরো রহস্য বাড়িয়েছে এবং এ ধারা অদ্যাবধি চলমান। ‘বনলতা সেন’ সম্পর্কে নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করেছেন সপ্তাহে একটি বই পড়ি’র সদস্য বায়জিদ হোসেন।
শনিবার বিকালে যশোর শহরের স্টেডিয়াম পাড়াস্থ লাইব্রেরি ‘নির্বাচিত’তে ‘বনলতা সেন : রূপসী বাংলার প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সেমিনারে মূল-প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সপ্তাহে একটি বই পড়ি’র সদস্য বায়জিদ হোসেন। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ যশোরের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ভারতী রানী হালদার, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিধান ভদ্র, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আহসান মোহাম্মাদ ইকরামুল কবীর, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ূন কবীর, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান আজাদ প্রমুখ।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজার সঞ্চালনায় এবং সংগঠনটির সভাপতি ও সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ যশোরের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন হরিদাস বিশ্বাস।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে উদ্বোধনী কবিতা আবৃত্তি করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাস, সমাপনী কবিতা আবৃত্তি করেন সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসান।
এছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেন থিয়েটার ক্যানভাসের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন, লুবনাম ফারিয়া স্বপ্না ও হামিদা হিমু। অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন কবি মামুন আজাদ, কবি আরশি গাইন, নির্বাচিত যশোরের ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আহমেদ, সংগঠনটির সাহিত্য পাঠচক্রের সদস্য শিরিন সুলতানা, খন্দকার রুবাইয়া, সাদিয়া, নুরুন্নবী, নাজমা, অনিক, ফয়সালসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শাহ্জাহান কবীর।
