বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অসহযোগিতার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে গরিব ও মধ্যবিত্ত রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ কমে গেলো। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রথম দিকে ব্যাপক সাড়া পেলেও, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অসহযোগিতা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাবে এই জনহিতকর সেবাটি আর স্থায়ী হতে পারলো না।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দীর্ঘ দুই বছর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল বৈকালিক বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের সাধারণ রোগীরা তুলনামূলক কম খরচে (সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ও সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা ফি দিয়ে) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারতেন।
কম ফি দিয়ে সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন আবার বেসরকারি হাসপাতাল বা ব্যক্তিগত চেম্বারের উপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য হবে।
২০২৩ সালের জুন মাসে শুরু হওয়া এই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই বছরে ৩৩ হাজার ৩০৬ জন রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। এই সময়কালে হাসপাতাল ৫১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৮ টাকা আয় করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারি হাসপাতালের বহিঃবিভাগে রোগীদের অতিরিক্ত ভিড় কমানো এবং সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া। কিন্তু এই সেবা বন্ধ হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। সূত্র মতে, অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার সুযোগ কমে যাওয়ায় এই কার্যক্রমে নিয়মিত বসতে আগ্রহী ছিলেন না। তাদের এই অসহযোগিতা সেবার ধারাবাহিকতা ব্যাহত করে।
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত জানান, এই সেবা থেকে যে আয় হতো, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে বা এর অডিট কীভাবে হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা ছিল না। এই ধরনের প্রশাসনিক জটিলতাও কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার একটি কারণ।
তত্ত্বাবধায়ক আরও জানান, অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যশোরেও রোগীর উপস্থিতি কমতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: আড়াই বছর পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি
