মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
কল্যাণ রিপোর্ট: বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে না বোঝাতে পারলে আগামীর বাংলাদেশে স্বাধীনতার চেতনা বিঘ্নিত হবে। এই প্রজন্ম যেভাবে নেট দুনিয়ায় ডুবে থাকে তাতে আগামী দিন নিয়ে আমরা চিন্তিত। আগামীর বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে এই প্রজন্মকে বইমুখি করা খুবই জরুরি। তাই সন্তানকে নিয়ম করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। নেট দুনিয়ায় ছেড়ে না দিয়ে লাইব্রেরিতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া উচিত। পড়াশুনার পাশাপাশি সন্তানকে সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সোমবার সকালে কারবালে রোডে মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের প্রবন্ধ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার চিত্রাংকন ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় যশোর শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। গতকাল প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পাঠাগারের অন্যতম পরিচালক ও আইইডি যশোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীথিকা সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, বিশেষ অতিথি যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠাগারের অন্যতম সদস্য রায়হান সিদ্দিক।
এ সময় স্বাগত বক্তব্যে পাঠাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ বলেন, পাঠাগার তৈরি করেছি তাদের জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। আপনারা পাঠাগারে আসবেন মুক্তিযুদ্ধের বই পড়বেন আপনার সন্তানকে স্বাধীনতার চেতনায় জাগ্রত করবেন। শিশুরা পড়তে না পারলেও বইয়ে হাত বুলাবে এভাবেই একদিন নতুন প্রজন্ম বইয়ের প্রেমে পড়বে।
আয়োজনের শুরুতে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন পাঠাগের সদস্যরা। এ সময় প্রধান অতিথিকে স্মারক উইপহার দেয়া হয়।
তিনটি প্রতিযোগিতায় নয়জন বিজয়ীর সাথে বিশেষ পুরস্কারও পেয়েছেন এগারোজন। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ‘ক’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে সেক্রেড হার্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী আলিশা তাবাসসুম, আমানে জান্নাতি মানহা, ক্যান্টনমেন্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাহিমা জামান কথা, যশোর ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওয়াফী, মৌমাছি স্কুলের ছাত্রী জুনাইয়া আক্তার।
চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ‘খ’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সেজুতি দাস, আনুশেহ আরাবী সকাল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাফিয়া ইসলাম প্রভা, সানজিদা পারভেজ, দাউদ পাবপ্লিক স্কুলের ছাত্র পার্থ প্রিয়ম চক্রবর্তী।
প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছে যশোর জিলা স্কুলের ছাত্র আল-আমিন জামান ফাহিম, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জেসমিন জাহান অত্রি, শামীমা রহমান, যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুলের হালিমা খাতুন, যশোর জেলা স্কুলের ছাত্র ইমরান ফয়েজ, জাওয়াদ উল হক, পুলিশ লাইন স্কুলের ছাত্র রিফাত আল রাফি, সাদমান শুভ, সামিহা ইসলাম ঐশী, ইয়াকুব ইবনে ইসহাক।