নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ধিত পানির বিল বাতিল, পুনরায় কর নির্ধারণ, সড়ক সংস্করণসহ চার দফা দাবি ও বিগত দিনে যশোর পৌরসভার দুর্নীতির সাথে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করা হয়েছে। দাবি জানিয়ে গতকাল পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসানের নিকট স্মারকলিপি জমা দিয়েছে যশোর পৌর নাগরিক কমিটি। দাবি আদায়ে এক মাসের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে পৌর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পৌর করের ১০ ভাগ পানির কর দিই। পৌরসভা আমাদের পানি সেবা দেয় না। আমাদের পানি কিনে নিতে হয়। সে পানির কোন জোর নাই এবং অস্বাস্থ্যকর। পৌরসভা জোর করে আমাদের পানি সংযোগ নিতে বাধ্য করছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে বিচ্ছিন্ন করতে দিচ্ছে না। এটা কি মগের মুল্লুক! বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে ৩০ টাকা বিল একতরফাভাবে বৃদ্ধি করেছে- এটা গোদের উপর বিষফোঁড়া। বিদ্যুৎ বিল আমাদের বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও বেড়েছে। বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির কারণে সকল জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের আয় কি বৃদ্ধি পেয়েছে ? এত নির্যাতন জুলুম মেনে নেওয়া যায় না। আমরা যশোর পৌরসভাকে এক মাসের সময় দিলাম। এর মধ্যে বর্ধিত পানির বিল বাতিল না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এ সময় দাবি না মানা পর্যন্ত পানি বিল না দেওয়ার জন্য পৌর নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক শওকত আলী খান, সদস্য অধ্যাপক মফিজুর রহমান রুন্নু, অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, নাজিম উদ্দিন, শেখ আলা উদ্দিন, এস এ নাসির শেফার্ড, শুকুর আলী, মো. কামরুজ্জামান, এমদাদুল হক দুলাল, লিয়াকত হোসেন, ইকবাল খান, আলাউদ্দিন, আশরাফুল রহমান বুলবুল, বুলবুল খোকন, হাসান হাফিজুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, পাপিয়া রাজ্জাক প্রমুখ।
যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন, পৌর নাগরিক কমিটি চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।