নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক যুবলীগ কর্মীর বাড়িতে হামলা, মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গতকাল ৭ জুন একই উপজেলার গাইদগাছি গ্রামে এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী ইকরাম গাজী দুইজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে এদিনই কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলো, একই গ্রামের অরো কুন্ডুর ছেলে অয়ন কুন্ডু ও জাহিদুল মােল্যার ছেলে জনি।
ইকরাম গাজী অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি বসুন্দিয়া মোড় বাজারে একজন কাঠ ব্যবসায়ী। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাইদগাছি গ্রামের দুলু শেখের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রি করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। অধিকাংশ সময় তারা মাদকাসক্ত অবস্থায় থাকেন। গত ৫ জুন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ছিল। ওই নির্বাচনে বাদী ইকরাম গাজী মোটরসাইকেল প্রতীকে এবং অভিযুক্তরা ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছিলেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। নির্বাচনের পরদিনে অভিযুক্ত অয়ন ও জনি বাদী ইকরাম গাজীকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। গতকাল ৭ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অয়ন ও জনি হাতে বার্মিজ চাকু নিয়ে ইকরাম গাজীর ভাড়া বাসায় আসেন।
কলিংবেল চেপে দরজা খোলামাত্রই তারা অতর্কিতভাবে ইকরাম গাজীর উপর হামলা ও মারপিট শুরু করে। তার চিৎকারে ঘরে থাকা ইকরাম গাজীর দু’টি শিশুপুত্র ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। এসময় ইকরামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ঠেকাতে এলে তাকেও মারপিট এবং শ্লীলতাহানি ঘটায়। পাশাপাশি রাবেয়া খাতুনের গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ইসরামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা ইকরামকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে প্রতিবেশিরা ইকরামকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ব্যাপারে অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তা বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আসাদুজ্জামান বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।