নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের লেখা পড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যে সব শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসায় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যায়নরত ছিল তারা দেশে এসে ভারতে প্রবেশ করতে না পারায় এ আশংকা করা হচ্ছে। বর্তমানে তাদের উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটছে। এদিকে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি খুলে দেয়া হয়েছে। ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা শুরু হলেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না।
গত ডিসেম্বর মাসে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রমন সংক্রমণ রোধে স্টুুডেন্ট ভিসায় ভারতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে যে সব শিক্ষার্থী দেশে আসে তারা আর প্রবেশ করতে পারেনি।
ভারতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে এসে ভারতে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে নিজ বাড়িতে। ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি থাকলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের গ্রহণ করতে নারাজ। ভারতের কাশ্মীরে পড়–য়া বাংলাদেশী ছাত্র সৌরভ বনিক (পাসপোর্ট নং ইএফ০৪৭৭১৬৮) অভিষেক বড়–য়া (পাসপোর্ট ই বি ০৫১৩৭৩১) জানায় তারা ২০২১ সালের নভেম্বরে দেশে আসে। এরপর ডিসেম্বরের পরে যখন তারা পড়াশুনার জন্য ছুটি কাটিয়ে ভারতে যেতে চায় তখন বিপাকে পড়েন। ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ভারত অনুমতি না দিলে তারা এসব স্টুডেন্ট ভিসার ছাত্র ছাত্রীদের আমরা গ্রহণ করতে পারব না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ছাত্রছাত্রীদের লেখা পড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। আমাদের ইতোমধ্যে পরীক্ষা ও শুরু হয়ে গেছে।
ভারতের দার্জিলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী শিক্ষার্থী (ইবি ০১৭২৭৪৭) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, তার পরীক্ষা আগামি ২৭ মার্চ থেকে। তিনি এখন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে যেতে পারছেন না।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিদিন মেডিকেল, বিজনেস, এমপ্লয়ারসহ বিভিন্ন ভিসায় ভারতে লোক যাতায়াত করছে অথচ আমরা যেতে পারছিনে। আমাদের যাওয়াতো খুবই জরুরি। সময়মত যেতে না পারলে একটি বছর পিছিয়ে যেতে হবে। লেখা পড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। আমাদের সামনে পরীক্ষা এর উপযুক্ত প্রমাণ দিলেও আমরা যেতে পারছিনে ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। ভারত তাদের ইমিগ্রেশনে অনুমতি না দিলে আমরা ছাড়তে পারব না। কারণ আমরা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেও ভারত এসব শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেবে। তবে জরুরি ছাত্র ছাত্রীদের ভারতীয় দূতাবাস থেকে অনুমতি নেয়ার পরামর্শ দেন।