কল্যাণ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সোমবার ফোন করেছিলেন। সেই ফোনালাপে ‘বাংলাদেশ’ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে ভারত। তবে ওই ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে উঠে আসেনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
কোনো দেশের শীর্ষ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বা আলোচনার বিষয়বস্তু সাধারণত তুলে ধরা হয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে। দুই দেশের শীর্ষ নেতার আলাপের পর ভারতের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এলেও যুক্তরাষ্ট এ ব্যাপারে কিছুই বলেনি।
ফোনালাপের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে যে পোস্ট করেছেন তাতে লিখেছেন, আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে। এ সময় ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা বিষয়ে মতবিনিময় করেছি।
তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। দেশটিতে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া একই দিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতেও একই প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়।
তবে ওই ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বাংলাদেশের কোনোও প্রসঙ্গই আসেনি। হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে বলেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফর নিয়ে কথা বলেছেন বাইডেন। এ সফরের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন বাইডেন। যুদ্ধ বন্ধ, ইউক্রেনে জ্বালানি ও মানবিক সহায়তার জন্য নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন বাইডেন। জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে দুই দেশের সংঘাত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন দুই দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষায় ভূমিকা রাখতে কোয়াডের মতো আঞ্চলিক জোটের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন। এছাড়া সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনার কথা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে।